রাজেশের শেষ মেসেজ বন্ধুদের, “চিনা জিনিস ব্যবহার করিস না, ওরা বড় বেইমান”

সোমবার রাতে লাদাখ সীমান্তে চীন ও ভারতের সংঘর্ষে ভারতের কুড়ি জন বীর সেনা শহীদ হয়েছে। তারমধ্যে একজন বীরভূমের রাজেশ ওরাং। ২০১৫ সালে সেনাবাহিনীতে যোগ দিয়েছিলেন রাজেশ ওরাং। রাজেশ শেষ বাড়ি এসেছিল সরস্বতী পুজোয় তারপর বাড়ি আসার কথা থাকলেও লকডাউন এর জন্য আর বাড়ি আসতে পারেনি। ইতিমধ্যে মানুষের ঢল জমেছে শহীদ জওয়ান রাজেশ ওরাং-এর পাড়ায়। 

26-year-old soldier Rajesh Orang, killed in Ladakh, was sole ...

শেষের ক’দিন বন্ধুদের সাথে যখনই কথা হতো তখনই সে বন্ধুদের চীনা দ্রব্য না ব্যবহার করার জন্য বলতেন। কিন্তু বন্ধুরা যে তার কথা মেনে নিয়েছিল তা আর জেনে যাওয়া হলো না তার। বন্ধুরা আবেগপ্রবণ হয়ে আরো বলেছে যে, হোয়াটসঅ্যাপের ডিপিতে তার ফটো এখনও রয়েছে, হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপে তার পাঠানো বরফে ঢাকা সেখানকার ছবি বন্ধুদের ফোনে রয়ে গেছে কিন্তু নেই সে নিজেই।

প্রতিদিন সবার খবর নেওয়া তারপর বাড়ি এলে সবার সাথে ঘন্টার পর ঘন্টা কাটানো এই সবই এখন স্মৃতি হয়ে আছে তার বন্ধুদের মনে। প্রত্যেকে বীর সেনা কে একবার শেষবারের মতো চোখের দেখা দেখতে চান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে কড়া নিরাপত্তায় ফেলা হয়েছে গোটা গ্রাম। দেওয়া হয়েছে ব্যারিকেড এবং মোতায়েন করা হয়েছে বাহিনী।

Army releases names of personnel killed in the violent face-off ...

আরও পড়ুনঃ ওই ভয়াবহ যুদ্ধের রাত কেমন ছিল? জানালো এক বেঁচে ফেরা সৈনিক 

আজ সকালে শহীদ সেনার বাড়িতে এসে উপস্থিত হয়েছিল সাঁইথিয়া বিধানসভার বিধায়ক। প্রথমে তিনি শহীদ জওয়ান ছবিতে মালা দেন এরপর তিনি গ্রামবাসীকে বলেন যে শহীদ বীর সেনা রাজেশ ওরাং-এর একটি মূর্তি তৈরি করা হবে। এছাড়া প্রশাসনের তরফ থেকে শহীদের পরিবার কে সবরকম সাহায্য করা হবে বলে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছে।