এই পাহাড়ি কুণ্ডে বাস নাগদেবীর, পূরণ করেন সব ইচ্ছা, জলে পড়লেও কেউ ডুবে যায় না

Mysterious Pond: আমাদের এই পৃথিবীতে রহস্যময়তার কোন সীমা নেই। প্রতিনিয়ত এমন ঘটনা ঘটে চলেছে যার বিশ্লেষণ স্বয়ং বিজ্ঞানও দিতে পারেনি। এমনই একটি ঘটনা ঘটেছে রাঁচির (Ranchi) একটি পাহাড়ি পুকুর বা কুন্ডে, সেখানে নাকি নাগদেবীর বাস এবং নাগদেবী নাকি সকলের মনস্কামনা পূর্ন করে থাকেন। ওই পাহাড়ি পুকুরে নাকি কেউ ডোবে না।

Image

আমরা আজ যে পুকুরটির ব্যপারে কথা বলব সেটি আমাদের প্রতিবেশী রাজ্য ঝাড়খণ্ডের রাঁচিতে। ধূসর পাহাড়ের গা বেয়ে উঠলেই তার গায়ে দেখা যাবে এই নাগদেবীর ছোট্ট সাদা মন্দির। এই পাহাড়ের কোল ফেটে নিজে থেকেই তৈরি হয়েছে এই কুন্ড, এটি কোন মানুষ সৃষ্ট নয়। এই কুন্ডে ডুব দিলেই নাকি মনস্কামনা পূর্ন হয়।

Image

ঝাড়খণ্ডের রাঁচির নামকোমে যারাশিলি পাহাড়ের কোলেই অবস্থিত এই কুন্ড। এর পাশেই রয়েছে নাগদেবতার মন্দিরও। মন্দিরের একমাত্র পূজারী শম্ভু জানান, পুকুরটি প্রাচীনকাল থেকেই এখানে রয়েছে। কে কবে কী করে কখন খনন করেছিলেন কেউ জানেন না। কিন্তু লোকমুখে একটি কথা প্রচলিত আছে এই পুকুরকে ঘিরে। এক ইচ্ছা পূরণকারী সাপ নাকি সেই পুকুরে বাস করে। 

স্থানীয়রা বিশ্বাস করেন, নাগদেবীর দেখা পেতে পারেন শুধুমাত্র বিশেষ ক্ষমতাধারী কোনও ব্যক্তি। মনে করা হয় পুকুরটিতে একটি গোপন সুড়ঙ্গও রয়েছে, যা সরাসরি নাগ দেবীর মন্দিরে গিয়ে ওঠে। এখানে প্রায়শই নাকি বহু সংখ্যক মানুষ প্রতিনিয়ত স্নান করতে আসেন যাতে তাদের মনস্কামনা পূর্ন হয়। পূজারী শম্ভুকে এ বিষয়ে জিজ্ঞাসা করলে বলেন, মন থেকে চাইলে এখানে এসে নাকি সবই পাওয়া যায়। 

Image

এক স্বামী পরিত্যক্তা নারীর অসহায়তার কথা শোনান ওই মন্দিরের পুরোহিত, যিনি এই নাগ মন্দিরে প্রার্থনা করতে আসার সময়ই তাঁর স্বামী এসে তাঁকে বাড়ি নিয়ে যান। সুনীতাদেবী নামে এক মহিলার কথাও জানান। ওই মহিলা তিন সন্তানের জন্ম দেন। তারা প্রত্যেকেই জন্মের চার মাসের মধ্যে মারা যায়। পরে সুনীতাদেবী নাগদেবতার পুজো করেন এবং ফের সন্তানধারণ করেন। সেই শিশুটি সুস্থ ভাবে বেঁচে রয়েছে ছ’বছর। আশপাশের এলাকা থেকে বহু মানুষ এই পুকুরে ও সংলগ্ন নাগদেবতার মন্দিরে পুজো দিতে আসেন।