Longest Indian Railway: ভারতীয় রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা বিশ্বের চতুর্থ বৃহত্তম। সাধারণত ভারতীয় লোকেরা দূরবর্তী কোন শহরে বা এক রাজ্য থেকে অন্য রাজ্যে যাওয়ার জন্য ট্রেনকেই বেছে নেয় কারণ, এটি সবচেয়ে সস্তা এবং সেরা উপায় বলে মনে করা হয়। ট্রেনের প্রতিটি ক্লাসের কথা মাথায় রেখে বগি নির্ধারণ করা হয় এবং এই বগি গুলির কারণে ট্রেন অনেক লম্বা হয়।
কিছু কিছু ট্রেন এমনও হয় যে সেগুলো টানার জন্য অনেক ইঞ্জিনের প্রয়োজন হয়। ভারতের দীর্ঘতম ট্রেনগুলিকে টানতে কমপক্ষে ৪ থেকে ৫টি ইঞ্জিন ব্যবহার করা হয়, তাহলে ভেবে দেখুন সেই ট্রেনটি কত লম্বা এবং শক্তিশালী হবে। এবার জেনে নেওয়া যাক ভারতের দীর্ঘতম ট্রেনগুলির সম্পর্কে:
১) শেশনাগ ট্রেন: এটি ভারতের দীর্ঘতম ট্রেনগুলির মধ্যে একটি। শেশনাগ ট্রেনটির দৈর্ঘ্য প্রায় ২.৮ কিলোমিটার। বলা হয়ে থাকে, এই ট্রেনটি টানতে কমপক্ষে চারটি ইঞ্জিনের সাহায্য নিতে হয়। তবে জানিয়ে রাখি, এই ট্রেনটি কোনো প্যাসেঞ্জার ট্রেন নয়, এটি শুধুমাত্র একটি মালবাহী ট্রেন।
২) সুপার ভাসুকি: এই ট্রেনটির সম্পর্কে খুব কম মানুষই জেনে থাকবেন। জানিয়ে রাখি, ভারতের দীর্ঘতম ট্রেনের নাম সুপার ভাসুকি। স্বাধীনতা দিবসের ৭৫ তম বার্ষিকীতে এই ট্রেনটি চালু করা হয়েছিল। জানা গেছে, এই ট্রেন চালাতে ৬টি ইঞ্জিনের প্রয়োজন হয় এবং মোট ২৯৫টি বগি রয়েছে। সুপার ভাসুকির প্রায় সাড়ে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ।
৩) বিবেক এক্সপ্রেস: এটি হলো ভারতের দীর্ঘতম দূরত্ব ট্রেন। এই ট্রেনটি ডিব্রুগড় থেকে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত চলে। বিবেক এক্সপ্রেস প্রায় ৮টি রাজ্যের উপর দিয়ে যায়। এই ট্রেনটি ২৩টি বগি নিয়ে চলাচল করে এবং ৪২৩৪ কিলোমিটার অতিক্রম করতে তিন দিনেরও বেশি সময় লাগে।