মুকেশ আম্বানির কথা তো শুনেছেন, কিন্তু ভারতবর্ষের সবচেয়ে ‘ধনী মহিলা’ কে চেনেন?

Top 5 Richest Women in India: ২০২৩ ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারের তালিকায় এশিয়ার সবচেয়ে ধনী মুকুট পেয়েছেন মুকেশ আম্বানি। এর পাশাপাশি দেশের সর্বকনিষ্ঠ বিলিয়নিয়ার হয়েছেন নিখিল কামাথ। এদিকে নারীদের কথা বললে ওপি জিন্দাল গ্রুপের চেয়ারম্যান সাবিত্রী জিন্দাল ভারতবর্ষের সবচেয়ে ধনী মহিলা হয়েছেন। এমনকি দেশের সবচেয়ে ধনী ব্যক্তিদের মধ্যে ষষ্ঠ স্থানে রয়েছেন তিনি। এবার দেখে নেওয়া যাক দেশের সবচেয়ে ধনী পাঁচ মহিলা সম্পর্কে…

Image

১) সাবিত্রী জিন্দাল: ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারের তালিকায় ৯৪তম স্থানে রয়েছেন ৭৩ বছর বয়সী সাবিত্রী জিন্দাল, যিনি ভারতের সবচেয়ে ধনী মহিলা। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ১৭ বিলিয়ন ডলার। তিনি ১৯৭০ সালের জিন্দাল গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা হরিয়ানা ওম প্রকাশ জিন্দালকে বিয়ে করেন। ২০০৫ সালে তার স্বামীর আকস্মিক মৃত্যুর পর সংসারসহ পুরো ব্যবসার দায়িত্ব নেন তিনি।

Image

২) রোশনি নাদার মলহোত্রা: দেশের দ্বিতীয় ধনী নারী হলেন রোশনি নাদার মলহোত্রা। ২০২১ এর রিপোর্ট অনুযায়ী তার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ৮৪,৩৩০ কোটি টাকা। গত মঙ্গলবার প্রকাশিত ফোর্বসের বিলিয়নিয়ারের তালিকায় তার বাবা শিব নাদার ভারতের তৃতীয় ধনী ব্যক্তি হিসেবে অন্তর্ভুক্ত হয়েছেন।

Image

৩) রেখার ঝুনঝুনওয়ালা: বিনিয়োগকারী রাকেশ ঝুনঝুনওয়ালার স্ত্রী রেখা ভারতের স্টক মার্কেটের বিগ বুল হিসেবে পরিচিত। ফোর্বস ইন্ডিয়ান ধনীদের তালিকায় তিনি ৩০তম স্থানে রয়েছেন। ভারতের এই অন্যতম ধনী নারী যার মোট সম্পদের পরিমাণ ৫.৯ বিলিয়ন ডলার বা ৪৭,৬৫০ কোটি টাকা। ঝুনঝুনওয়ালার পোর্টফোলিওতে রয়েছে টাইটান, স্টার হেলথ, অ্যালাইড ইন্সুরেন্স এবং মেট্রো ব্র্যান্ড।

Image

৪) ফাল্গুনী নায়ার: ভারতের সৌন্দর্য পণ্য নির্মাতা Nykaa-র প্রতিষ্ঠিত ফাল্গুনী নায়ার, দেশের সবচেয়ে ধনীতম নারীদের তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২.৭ বিলিয়ন ডলার বা ২২,১৯২ কোটি টাকা। তিনি ২০১২ সালে এই কোম্পানির প্রতিষ্ঠা করেন। ১৬০০ জনেরও বেশি লোকের একটি দলকে নেতৃত্ব দিয়ে বিরাট সম্পদের মালিক হয়ে উঠেছেন। তার কোম্পানিতে ১৫০০-রও বেশি সৌন্দর্যের প্রোডাক্ট রয়েছে।

Image

৫) কিরণ মজুমদার শ: দীর্ঘদিন ধরেই দেশের শীর্ষ ধনী নারীদের তালিকায় রয়েছেন কিরণ মজুমদার। বর্তমানে তার মোট সম্পদের পরিমাণ ২ বিলিয়ন ডলার বা ১৬,৪৩৮ কোটি টাকা। করোনাকালে তার কোম্পানির আয় দ্বিগুণ বৃদ্ধি পেয়েছিল। বেঙ্গালুরুতে অবস্থিত একটি বায়োটেকনোলজি সংস্থা বায়োকন লিমিটেডের চেয়ারম্যান এবং ব্যবস্থাপনার পরিচালক তিনি।