ভারতের এই পাঁচটি জায়গা দখল করার চেষ্টায় আছে চীন, সতর্ক করল তিব্বত

লাদাখের প্রকৃত নিয়ন্ত্রণ রেখা নিয়ে ১৫ই জুন মধ্যরাতে ভারত ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষ বাধে। প্রায় ৫০ বছর পর লাদাখ সীমান্তে ভারতে ও চীনের মধ্যে সংঘর্ষ হয়। এই সংঘর্ষ শহীদ হয়েছেন ভারতের ২০ জন বীর সেনা। উপগ্রহ চিত্রে দেখা গিয়েছে কিভাবে চীন লাদাখের গালওয়ান উপত্যকা দখলের চেষ্টা করেছে। তবে এই সমস্যা দীর্ঘদিনের কিন্তু এখন যেন চীন এটি দখলের চেষ্টায় উঠে পড়ে লেগেছে। চীনের এই আগ্রাসী মনোভাব দেখে তিব্বত সতর্ক করল ভারতকে।

India China standoff: US condoles loss of Indian soldiers - The ...

তিব্বত অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের প্রেসিডেন্ট লোবসাং জানিয়েছেন যে, “লাদাখ হলো চীনের মাস্টারপ্ল্যানের একটি ভাগ। চীন একটা পুরো হাত দখল করতে মাঠে নেমেছে; আর লাদাখ হল তার একটি আঙ্গুল মাত্র। আসলে চীন ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্র্যাটেজি কার্যকলাপ করতে চাইছে। আর এর অতি সামান্য একটি অংশ হলো লাদাখ।”

ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্রাটেজি

চীনের ‘পিপলস রিপাবলিক অফ চায়না’-এর প্রতিষ্ঠাতা মাওসেতুং এই ‘ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্রাটেজি’ নামে এক যুদ্ধনীতি প্রচলন করেছিলেন। লোবসাং-এর কথা অনুযায়ী,”চীন যখন তিব্বত দখল করেছিল তখন চীনের নেতারা তিব্বতকে হাতের তালু হিসেবে মনে করতেন। তাই তিব্বতকে দখল করে বাকি পাঁচ আঙ্গুল দখল করার চিন্তাভাবনা করেছিল চীন। আর এই পাঁচ আঙ্গুলের একদম প্রথমে আছে লাদাখ। আর বাকি চারটি আঙুল হলো নেপাল, ভুটান, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশ।

তিব্বতের সতর্কবার্তা

Tibetan PM-in-exile cautions India against China - Central Tibetan ...

এর আগে লাদাখ সীমান্তের শেষ বড় মাপের যুদ্ধ হয়েছিল ১৯৬২ সালে। এত বছর পর আবার লাদাখ সীমান্তে হানা দেয় চীনা সেনারা। তারা এখনো অব্দি গালওয়ান উপত্যকায় ঘাঁটি গেড়ে বসে আছে। মুখে তারা আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা মিটিয়ে ফেলার কথা বললেও এখনো অব্দি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে ভূখণ্ড দখলের।

আরও পড়ুনঃ চিনকে শিক্ষা দিতে ভারতের কাছে আছে এই পাঁচটি বিকল্প

লোবসং আরো বলেন যে, ২০১৭ সালে ডোকলামে যে সংঘর্ষ হয়েছিল তা এই ফাইভ ফিঙ্গার স্ট্রাটেজির একটি অংশ। তিব্বত নেতা গত ৬০ বছর ধরে ভারতকে সতর্ক করে আসছে চীন সম্পর্কে। নিজের সীমানা বাড়ানোর জন্য এখন চীনের পাখির চোখ লাদাখ এবং এরপর থাকবে নেপাল, ভুটান, সিকিম এবং অরুণাচল প্রদেশের উপর। তিব্বত নেতা মনে করেন যে তিব্বতের সঙ্গে যা হয়েছিল তা দেখে শিক্ষা নেওয়া উচিত ভারতের।