চীন ভেবেছিল যে তারা LAC পার করে ভারতীয় সীমানা দখল করবে আর ভারতীয় সেনারা কিছুই করতে পারবেনা। কিন্তু চীন ভুলে গেছে যে এটি ১৯৬২ সালের ভারতবর্ষ নয়, এটি হলো নতুন ভারত। যারা কখনোই ছেড়ে কথা বলে না, সেই মুহূর্তেই যোগ্য জবাব দিয়ে থাকে।
নতুন ভারতের সংকল্পটি হল যে, ভারতকে কেউ আঘাত করলে তার দ্বিগুণ পাল্টা জবাব দেবে। ডোকলাম থেকে গ্যালভান উপত্যাকা পর্যন্ত চীন এর প্রমাণ পেয়েছেন। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত, কেন্দ্রের তরফ থেকে ভারতীয় সেনাকে পূর্ণ স্বাধীনতা দেয়া হয়েছে, চীনকে যোগ্য জবাব দেওয়ার মতো।
চীনের বিরুদ্ধে কূটনৈতিক ও সামরিক বিকল্প গুলি কি কি :-
প্রথম বিকল্প: চীনের বিরুদ্ধে কঠোরভাবে রণকৌশন তৈরি করেছে ভারত।
দ্বিতীয় বিকল্প: LAC -তে তাদের ভাষায় যোগ্য জবাব দেয়ার মত ক্ষমতা রয়েছে ভারতের।
তৃতীয় বিকল্প: চীনের বিরুদ্ধে বিভিন্ন দেশগুলি আন্তর্জাতিক সংগঠন তৈরি করেছে। যে দেশগুলি চীনের বিরুদ্ধে তারা এখন ভারতের পাশে দাঁড়িয়ে।
চতুর্থ বিকল্প: সমুদ্রের উপর চীনকে আক্রমণ করার জন্য ভারতীয় নৌ-বাহিনী বিশেষভাবে তৈরি। খুব সহজেই তারা পিছু হটবে।
পঞ্চম বিকল্প: যেকোনো পরিস্থিতিতে ভারতীয় সেনা চীনকে যোগ্য জবাব দিতে প্রস্তুত। এই কারণেই ড্রাগনের দেশ চাপে পড়ে মাথানত করতে বাধ্য হবে।
প্রসঙ্গত, ১৯৭৫ সালে ২০ অক্টোবর অরুণাচল প্রদেশের অসম রাইফেল এর পেট্রোলিং পার্টিতে অতর্কিত হামলা করেছিল চীন। এর ফলে ৪ জন ভারতীয় সেনা শহীদ হন। চীন তখনও অতর্কিত হামলা করেছিল আবার তাদের হিংস্র চরিত্র বেরিয়ে এল লাদাখ সীমান্তে। তবে ভারতে এখন, চীনের রণকৌশলটি খুব সহজেই ধরে ফেলেছে।