চাণক্য ছিলেন একজন শিক্ষক এবং অর্থনীতির পাশাপাশি একজন মহান বিদ্বান। তিনি সমাজের প্রতিটি জিনিসকে খুবই সূক্ষ্মভাবে দেখেছেন। তার অধ্যয়ন এবং অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে একজন মানুষ কতটা দক্ষ হতে পারে এবং তার মধ্যে কি কি ঘাটতি থাকতে পারে সবই বর্ণনা দিয়েছেন।
চাণক্য নীতি যে বলা হয়েছে, মানুষের এমন কিছু গুনাগুনগুলি থাকলে তারা কখনোই আর্থিকভাবে সন্তুষ্ট হতে পারে না, সবসময় তাদের অভাব লেগেই থাকে। চলুন সেই সকল গুনাগুনগুলি জেনে নেওয়া যাক –
১) নেতিবাচক চিন্তাধারা:
মানুষকে সর্বদা নেতিবাচক চিন্তাভাবনা ও কাজ করার থেকে দূরে থাকার নির্দেশ দিয়েছেন। নেতিবাচক চিন্তাধারা একজন ব্যক্তির দক্ষতা নষ্ট করে দেয়। যখন সেই ব্যক্তির উপরে নেতিবাচক চিন্তাধারা আধিপত্য বিস্তার করতে শুরু করে তখন সেই সকল ব্যক্তি ধীরে ধীরে সর্বস্বান্ত হয়ে পড়ে। তখন এই ধরনের মানুষের জীবনে প্রবল আর্থিক সংকট দেখা দেয় কারণ লক্ষীদেবী সেইসব ঘরে কখনোই বাস করেন না।
২) মন্দ শুনো না ও মন্দ কাজ করো না:
যতটা সম্ভব মন্দ কাজ থেকে নিজেকে দূরে রাখা উচিত এটি এমন একটি যা ভিতরের মনুষ্যত্বকে ধ্বংস করতে শুরু করে। মন্দ কাজ করা ও শোনার মাধ্যমে ব্যক্তির ব্যক্তিত্ব এবং কর্মশক্তি হ্রাস পেতে শুরু করে। যার ফলে সমাজে তার ভাবমূর্তি কলঙ্কিত হতে পারে এবং অন্যরা দূরত্ব তৈরি করে। হাতে অর্থ এলেও আপনি যদি সময় মত এই আচরণ থেকে মুক্তি পেতে না পারেন তাহলে খুব শীঘ্রই আর্থিক সঙ্কটে পড়তে পারেন।
আরও পড়ুনঃ এই ৩টি বিষয়ে কখনই লজ্জা বা দ্বিধা করা উচিত নয়ঃ চাণক্য নীতি
৩) লোভ পরিত্যাগ করা:
শুধু চাণক্য নীতিতে লোভ পরিত্যাগ করার কথা বলা হয়েছে। লোভ এমন একটি বস্তু যা সবসময় আঘাত করে। এর ফলে একজন ব্যক্তি নিষ্ঠুর এবং স্বার্থপর হয়ে ওঠে। আপন ইন্দ্রিয়গুলি লোভের মধ্যে বিলীন হতে শুরু করে। এই ধরনের ব্যক্তিরা কখনোই সুখী হতে পারে না কারণ হাতে অর্থ পেয়েও লোভ বোধটি সর্বদা বিরাজ করে। লক্ষীদেবী এমন ধরনের মানুষকে কখনোই পছন্দ করে না। তাই জীবনের গুরুত্বপূর্ণ সময়ে চরম আর্থিক কষ্ট দেখা দেয়।