সম্প্রতি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন প্রাক্তন ভারতীয় অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি। কোনরকম প্রেস মিডিয়া ছাড়াই হঠাৎ ১৫ই আগস্ট একটি ভিডিও পোস্ট মাধ্যমে অবসরের কথা ঘোষণা করে দেন। তার ১৬ বছরের ক্রিকেট ক্যারিয়ারে রেখে গেছেন অসংখ্য স্মৃতি এবং ভারতকে জিতিয়েছেন একা হাতে বহু ম্যাচ।
তবে তিনি ক্যাপ্টেন কুল হিসেবে পরিচিত হলেও, কখনো কখনো তিনি মেজাজ হারিয়ে তুমুল বিতর্কে জড়িয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছেন। চলুন জেনে নেওয়া যাক –
১) সালটা ২০১২ – ত্রিদেশীয় সিরিজে অস্ট্রেলিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ভারতীয় দল। সুরেশ রায়নার বলে মাইক হাসিকে স্টাম্প করেন উইকেটের পিছনে থাকা ধোনি। থার্ড আম্পায়ার আউট দিলেও মাঠের আম্পায়ার বিলি বাউডেন হাসিকে থামিয়ে দেন। তা দেখে ধোনি মেজাজ হারিয়ে ফেলেন এবং আম্পায়ারের সাথে বচসায় জড়ান।
২) সালটা ২০১৫ – শের-ই-বাংলা স্টেডিয়ামে ভারত বনাম বাংলাদেশ ওয়ানডে ম্যাচ চলছিল। সিঙ্গেল রান নিতে গিয়ে মাঝপথে দাঁড়িয়ে থাকা বাংলাদেশি বোলার মুস্তাফিজুরকে জোরে ধাক্কা দিয়েছিলেন মহেন্দ্র সিং ধোনি। এরফলে ধোনিকে সমালোচনার মুখে পড়তে হয়েছিল। এমনকি এই ঘটনার জন্য ধোনির ৭৫% ম্যাচ ফি কাটা যায়।
৩) বিশ্বকাপ জয়ের পরের বছরে ২০১২ সালে মহেন্দ্র সিং ধোনি রোটেশন পদ্ধতি চালু করেন দলে। তার যুক্তিতে তরুণদের সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ও ফিল্ডিংয়ের মান বজায় রাখতে সচিন তেন্দুলকার, গৌতম গম্ভীর এবং বীরেন্দ্র শেবাগের মতো তারকাদের রোটেশনে খেলানো হবে। এই পদ্ধতির দ্বারা তিনি প্রবল সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন।
৪) ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত গত বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার বিরুদ্ধে মহেন্দ্র সিং ধোনির গ্লাভস নিয়ে প্রবল সমালোচনা হয়েছিল। ধোনির গ্লাভসে ছিল ভারতীয় সেনার বিশেষ ব্যাজ, আইসিসি এই ধরনের কোন লোগো ব্যবহারের অনুমতি দেয় না। তবে সেনাকে সম্মান জানাতে ধোনির এমন সিদ্ধান্তের পাশে দাঁড়িয়েছিল বিসিসিআই।
৫) ধোনির ক্যারিয়ার সম্ভবত এটি সবচেয়ে আলোচ্য বিষয়। ২০০৭ সালে বিশ্বকাপে জঘন্য পারফরমেন্সের দরুন রাহুল দ্রাবিড় এবং সৌরভ গাঙ্গুলীকে ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ধোনি। তার মতে, গম্ভীরা-রায়নাদের মতো তরুণদের জায়গা দেওয়া বেশি জরুরি ছিল। এমন সিদ্ধান্তে তিনি সাফল্য পেলেও পরবর্তীকালে সিনিয়রদের ছাঁটাইয়ের জন্য সমালোচিত হয়েছিলেন।