২০২২ আইপিএল শুরুর আগে প্রতিটি বিভাগে রইল খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ পরিসংখ্যানগুলি

আজ ২৬শে মার্চ থেকে শুরু হচ্ছে আইপিএলের ১৫ তম আসর। শেষ মুহূর্তের মতো প্রতিটি দল নিজেদের মতো প্রস্তুতি সেরে নিচ্ছে। ডিফেন্ডিং চ্যাম্পিয়ন দল চেন্নাই সুপার কিং ও কলকাতা নাইট রাইডার্স এর মধ্য দিয়ে উদ্বোধনী ম্যাচটি হবে। যেহেতু ক্রিকেট খেলায় পরিসংখ্যান খুবই গুরুত্বপূর্ণ তাই ২০২২ আইপিএল শুরুর আগে প্রতিটি বিভাগে খেলোয়াড়দের সর্বোচ্চ পরিসংখ্যানগুলি বিস্তারিত ভাবে জানানো হলো:  

□ সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী: আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী বিরাট কোহলি, যার ব্যাট থেকে এসেছে ৬২৮৩ রান। সম্প্রতি তিনি অধিনায়কত্ব ছেড়েছেন। এবার তাকে আরসিবি দলের হয়ে একজন খেলোয়াড়ের ভূমিকায় দেখা যাবে।

□ সর্বাধিক বাউন্ডারি: আইপিএলের ইতিহাসে একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ৬০০টির বেশি বাউন্ডারি (৬২৪) হাঁকিয়েছেন শিখর ধাওয়ান। দিল্লি ক্যাপিটালসের এই প্রাক্তন খেলোয়াড়কে এবার পাঞ্জাব কিংসের হয়ে ওপেন করতে দেখা যাবে।

□ সর্বাধিক ছক্কা: আইপিএল ইতিহাসের অন্যতম সেরা ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল, ধারাবাহিকভাবে বেশ কয়েকটি মরসুমে তিনি ব্যাটিং তাণ্ডব চালিয়ে ছিলেন। তিনি এমন এক ব্যাটসম্যান, দৌড়ে রান নেওয়ার চেয়ে ছক্কা হাঁকিয়ে রান তুলতে বেশি পছন্দ করেন। এই প্রথমবার আইপিএলে ক্রিস গেইলকে মিস করবে ক্রিকেটপ্রেমীরা। এখনো পর্যন্ত তার ব্যাট থেকে এসেছে মোট ৩৫৭টি ছক্কা।

□ সর্বোচ্চ স্কোর: আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর করেছেন ক্রিস গেইল। ২০১৩ সালে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর হয়ে খেলার সময় তিনি পুনে ওয়ারিয়র্সের বোলিং লাইনআপকে বিধ্বস্ত করেছিলেন। এই ম্যাচে ক্রিস গেইল মাত্র ৬৬ বলে ১৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন। তার ব্যাট থেকে এসেছিল ১৩টি বাউন্ডারি ও ১৭টি ছক্কা।

□ দ্রুততম সেঞ্চুরি: ২০১৩ সালেই পুনে ওয়ারিয়র্সের বিপক্ষে আরসিবির বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান ক্রিস গেইল মাত্র ৩০ বলে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছিলেন। এই ম্যাচে তিনি ১৭৫ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলে বিশ্বরেকর্ড গড়েন। এত কম বলে টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে সেঞ্চুরি করার রেকর্ড কারও নেই।

□ সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি: আইপিএলের সব থেকে অভিজ্ঞ ব্যাটসম্যানদের মধ্যে ক্রিস গেইল অন্যতম এবং তার ব্যাট থেকে এসেছে মোট ৬টি সেঞ্চুরি। তার ধারে পাশে আর কেউ নেই। ক্রিস গেইলের সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোরটি হল ১৭৫ রান।

□ দ্রুততম হাফ সেঞ্চুরি: ২০১৮ সালে পাঞ্জাব কিংসের হয়ে খেলার সময় কেএল রাহুল প্রথম হাফ সেঞ্চুরি করেছিলেন দিল্লি ক্যাপিটালসের বিপক্ষে। তার এই ঝড়ো ইনিংসে সাজানো ছিল ৬টি বাউন্ডারি ও ৪টি ছক্কা। এর ফলে সহজেই ম্যাচটি পাঞ্জাব দল জিতেছিল। তবে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে যুবরাজ সিং ১২ বলে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন।

□ সর্বোচ্চ হাফ সেঞ্চুরি: আইপিএলের ইতিহাসে ডেভিড ওয়ার্নার একজন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান। ২০১৬ সালে তার নেতৃত্বে সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদ চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। আইপিএলের ৪টি সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি গড়ে তিন ম্যাচ অন্তর একটি হাফ সেঞ্চুরি করেছেন। ১৫০ ম্যাচে হাফ সেঞ্চুরির সংখ্যা ৫০টি।

□ সর্বোচ্চ স্ট্রাইক রেট: কলকাতা নাইট রাইডার্স এর অন্যতম ব্যাটিং শক্তি আন্দ্রে রাসেল। মিডল অর্ডারে ব্যাট করতে নেমে ব্যাটিং তান্ডব চালিয়ে দলের স্কোরকে বরাবরই সঠিক জায়গায় পৌঁছে দিয়েছেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের এই দুর্দান্ত অলরাউন্ডার আন্দ্রে রাসেলের স্ট্রাইক রেট ১৭৮.৫৭।

□ সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী: আইপিএল ইতিহাসের এখনও পর্যন্ত সর্বোচ্চ উইকেট শিকারী বোলার হলেন মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের প্রাক্তন খেলোয়াড় লাসিথ মালিঙ্গা। তার দুর্দান্ত ইয়র্কার এবং সুইংয়ের মাধ্যমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকে চ্যাম্পিয়ন করার ক্ষেত্রে বড় অবদান রেখেছেন। আইপিএলে লাসিথ মালিঙ্গা মোট ১৭০টি উইকেট দখল করেছেন।

□ সেরা বোলিং ফিগার: টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলোয়াড়রা খুব বেশি উইকেট পান না, তবে ওয়েস্ট ইন্ডিজের মিডিয়াম ফাস্ট বোলার আলজারি জোসেফ তার অভিষেক ম্যাচেই ৬-১২ উইকেট নিয়েছিলেন, যা এখনও পর্যন্ত আইপিএলের ইতিহাসের সেরা বোলিং ফিগার।

□ সেরা ইকোনমি রেট: আইপিএলের ইতিহাসে যেসকল বোলাররা পারফরম্যান্স করেছেন তাদের মধ্যে রাশিদ খান অন্যতম। এই আফগান লেগস্পিনারের মুখোমুখি হয়ে অনেক তাবড় তাবড় ব্যাটসম্যান সমস্যায় পড়েছেন, আবার কখনো কখনো উইকেটও হারিয়েছেন। রাশিদ খানকে ডেথ ওভারেও বোলিং করতে দেখা যায়। এখনও পর্যন্ত তার বোলিং ইকোনমি সবথেকে কম, মাত্র ৬.৩৩!