বলিউডের নায়ক-নায়িকার প্রেমের গল্প নতুন কোন ব্যাপার নয়। পর্দার ভালবাসা অনেক ক্ষেত্রেই ছাপ ফেলেছে বাস্তব জীবনেও। নানা পাটেকর (Nana Patekar) এবং মনীষা কৈরালাও (Manisha Koirala) এক সময় একই পথে। প্রেম থেকে বিচ্ছেদ সব কিছু নিয়ে তাঁদের সম্পর্ক চর্চার কেন্দ্রে অবস্থিত ছিল। তবে নানা-মনীষার প্রেম পূর্ণতা না পাওয়ার পেছনে ছিলেন ৯০ এর দশকের এক জনপ্রিয় বলি অভিনেত্রী।
এক সময় গুঞ্জন রটে যে প্রেমে পূর্ণতা না পাওয়ার নেপথ্যে ছিলেন সে সময়ের অন্য আরেক জনপ্রিয় বলি অভিনেত্রী। শোনা যায়, নানার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর মনীষা নাকি সেই অভিনেত্রীকে কুকথা শুনিয়েছিলেন বলতেও পিছ পা হননি। কিন্তু কেন তিনি এমন টা করেছিলেন! এবং কী কারনেই বা নানা এবং মনীষার প্রেম ভাঙে?
‘অগ্নিসাক্ষী’র শুটিং চলাকালীন নানার ব্যক্তিত্ব এবং অভিনয়ের দক্ষতার প্রতি আকৃষ্ট হন মনীষা। পাশাপাশি অভিনেত্রীর সৌন্দর্যে মুগ্ধ হন নানাও। লুকিয়ে দেখা করতে শুরু করেন তাঁরা। সঞ্জয় লীলা বনশালীর ‘খামোসি’ ছবিতে দ্বিতীয়বার জুটি বাঁধেন তাঁরা।
যার দরুন দু’জনের রসায়ন নিয়েও দর্শকদের মাঝে চর্চাও কম হয়নি। তখন তাদের প্রেম নিয়ে কোন লুকোচুরি খেলেল নি মনীষা, তিনি স্পষ্ট জানিয়ে দেন, নানার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। অভিনেতাও তখন আর স্ত্রী নীলাকান্তির সঙ্গে থাকছিলেন না।
তবে নানা ও মনীষার প্রেমের পথটাও বিশেষ মসৃণ ছিল না। বিভিন্ন কারণে তাদের মধ্যে মতবিরোধ লেগেই থাকত। শোনা যায়, মনীষাকে বিয়ে করতেও নানা রাজি ছিল না। এক মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে মনীষার সঙ্গে সম্পর্কে থাকাকালীনই নাকি অভিনেত্রী আয়েশা জুলকার (Ayesha Jhulka) সঙ্গে ঘনিষ্ঠ মুহূর্তে ধরা পড়েন নানা।
শুধু তাই নয়, একটি বন্ধ ঘরে আয়েশার সঙ্গে নানাকে ধরে ফেলেন মনীষা। তার পরেই তাঁদের সম্পর্ক চির ধরে।এক সাংবাদিকদদের কাছে গিয়ে আয়েশার নাম না করে খোচা মারেন মনীষা। তিনি বলেন, ‘ওই কুকুরটার উচিত ছিল আমার প্রেমিকের থেকে দূরে থাকা।’ তবে বিচ্ছেদের বহু বছর পরেও মনীষাকে ভুলতে পারেননি অভিনেতা। এক সাক্ষাৎকারে প্রাক্তন প্রেমিকার ভূয়সী প্রশংসা করতেও শোনা যায়।
