সিঙ্গাপুরের বিজ্ঞানীরা কৃত্রিম মশা তৈরি করে পরিবেশে ছেড়ে দিচ্ছে; কিন্তু কেন

পৃথিবীর সমস্ত দেশ মশা মারার কাজে বিভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করলেও সিঙ্গাপুর কখনো মশা মারে না বরং তারা মশা চাষ করে এবং একটি নির্দিষ্ট সময়ের পর পরিবেশে ছেড়ে দেয় তাদের দেশের স্বাধীনভাবে বিচরণের জন্য। এমন তথ্য দেখে আপনার মনে হতে পারে সিঙ্গাপুর কেন এমনটা করছে, নিশ্চয়ই তারা পাগল হয়ে গেছে… আসলে ব্যাপারটা ঠিক তেমন না।  

Image

যেখানে ডেঙ্গু নিয়ে আমাদের দেশে এত মাতামাতি সেখানে সিঙ্গাপুর তার প্রতিকার করছে খুবই সহজে। ডেঙ্গু মূলত কোন মশা নয় বরং স্ত্রীর মশার শরীরে থাকা একটা প্রাণঘাতী ভাইরাস। গোটা বিশ্বে সারা বছরে প্রায় ৭ কোটি মানুষ মারা যায় মশার কামড়ে।  

আমাদের দেশে স্প্রে করে মশা মারার বৃথা চেষ্টা করা হলেও সিঙ্গাপুর এমন টা করে না। সিঙ্গাপুর মনে করে মশা মারার চেয়ে বরং বংশবিস্তার রোধ করার মাধ্যমে ডেঙ্গু থেকে রেহাই পাওয়া যেতে পারে। আর তারা সেটাই করছে কৃত্রিমভাবে এক নতুন প্রজাতির মশা আবিষ্কার করে। তারা এতটাই শক্তিশালী যে সেগুলি বাইরে গিয়ে এডিস মশা খুঁজে বের করে এবং তাদের বংশ বিস্তার বন্ধ করে। 

Inside China's 'mosquito factory' fighting Zika and dengue - CNN

সিঙ্গাপুরের গবেষকরা একটি ল্যাবে প্রতি সপ্তাহে প্রায় লক্ষ লক্ষ মশা তৈরি করছে কৃত্রিমভাবে। তবে সবচেয়ে বিস্ময় ব্যাপার হচ্ছে এই মশা গুলি মানুষের শরীরে কামড় দেওয়া তো দূরে থাক তারা আপনার আশেপাশেও আসবে না। আর বংশ বিস্তার রোধ করতে এই কৃত্রিম মশাগুলো সেই সকল স্ত্রী এডিস মশাদের সাথে মিলন ঘটায় ফলে তারা আর কখনো বাচ্চার জন্ম দিতে পারে না। এতে এডিস মশাদের বংশ বিস্তার বন্ধ হয়ে যায়। 

 

এইভাবে কোনরকম বংশবিস্তার ছাড়াই খুব অল্প সময়ে দুই প্রজাতির মশাই মারা যায়। সিঙ্গাপুরবাসীদের এই পদ্ধতি ৯০% কার্যকর বলেও প্রমাণিত হয়েছে।