মৃত্যুর পর কে স্বর্গ পায় আর কাকে নরক ভোগ করতে হয়? কি বলা হয়েছে গরুড় পুরাণে

ধর্মীয় বিশ্বাস অনুসারে স্বর্গ-নরক লাভ আমাদের কর্মফলের উপর নির্ভর করে। মহৎ ও সৎ কর্ম করলে একজন ব্যক্তির স্বর্গে গমন করেন। সেই সাথে খারাপ কর্মের ফল হল নরক। কিছু লোক বিশ্বাস করে যে স্বর্গ নরক উভয়ই পৃথিবীতেই রয়েছে। যে ব্যক্তি ধনী এবং সুখে জীবন যাপন করে সে স্বর্গের অভিজ্ঞতা লাভ করে। পক্ষান্তরে যারা পাপ করে এবং দুঃখ কষ্ট ভোগ করে তারাই নরকের স্বাদ পায়।

যাইহোক, স্বর্গের রাজা ইন্দ্রদেবকে বিবেচনা করা হয়। বলা হয় স্বর্গ ও নরক মানুষের কৃতকর্মের উপর নির্ভর করে। যে মানুষ কখনো পাপ করে না, কারো শারীরিক ও মানসিক ক্ষতি করে না, সে ভগবানের চরণে স্থান পায় ও যে ব্যক্তি জীবনে পূর্ণ করে সে স্বর্গ লাভ করে।

Image

একইভাবে যে ব্যক্তি তার জীবনে পাপ করে। মানুষকে শারীরিক ও মানুষের কষ্ট দেয় তাকে নরক ভোগ করতে হয়। নরকে নপুংসকদের দ্বারা অনেক অত্যাচার করা হয়। পুণ্যের ফল ভোগ করার জন্য তাদের আত্মাদের স্বর্গে রাখা হয়। খারাপ আত্মারা নরকে অত্যাচারিত হয়।

গরুড় পুরাণেও স্বর্গ ও নরকের কথা বলা হয়েছে। যে ব্যক্তি সর্বদা সৎকর্ম করে, সে জন্ম-মৃত্যু শৃঙ্খল থেকে মুক্তি পায় এবং ৮৪ লক্ষ যোনি’তে বিচরণ করে মানবজীবন লাভ করে। মানুষের কর্মই নির্ধারণ করে মৃত্যুর পর সে স্বর্গ সুখ পাবে, নাকি নরকের কষ্ট ভোগ করবে।

গরুড় পুরাণ অনুসারে বলা হয়েছে যে ব্যক্তি ধর্মীয় কাজ করে এবং অন্যকে সাহায্য করে, মন্দির, ঘট ইত্যাদি তৈরি করে সে স্বর্গের সুখ ভোগ করে। পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি ব্রহ্মাকে হত্যা করে, গরু হত্যা করে, নারীদের উপর অত্যাচার করে এবং অন্যকে শারীরিক ও মানসিক কষ্ট দেয় সে নরকে যায়।