৯০-র দশকে জনপ্রিয় অভিনেত্রীদের মধ্যে আয়েশা জুলকা ছিলেন (Ayesha Jhulka) অন্যতম। হিন্দি-র পাশাপাশি বাংলা, ওড়িয়া, কন্নড় এবং তেলুগু ইন্ডাস্ট্রিতেও একচেটিয়া কাজ করেছেন। কঠোর পরিশ্রমের ফলে ইন্ডাস্ট্রিতে নিজের জায়গা তৈরি করা খুব একটা সহজ ছিল না। কিন্ত একটি ছোট্ট ভুলে আচমকাই ইন্ডাস্ট্রি থেকে উধাও হয়ে যান তিনি।
আয়েশা ছোটবেলা থেকেই আয়েশার মডেলিংয়ের প্রতি বেশি ঝোঁক ছিল। আর সেই সুবাদেই দিল্লি থেকে মুম্বাই পাড়ি দেন। সেখানে মডেলিং এর পাশাপাশি বড় পর্দায় অভিনয়ের জন্য একটু একটু করে অডিশন দেন। ১৯৮৩ সালে অভিনয় করার সুযোগ পান।
পরবর্তীতে সলমান খানের সঙ্গে কুরবান ছবিতে অভিনেত্রী হিসাবে প্রথমবার আত্মপ্রকাশ ঘটে। এরপর তাকে আর পেছন ফিরে তাকাতে হয়নি। একে একে খিলাড়ি, ওয়াক্ত হামারা হ্যায়‘র মত হিট ছবিতে দেখা গিয়েছে তাকে। কিন্তু এরপরেই তুমুল বিতর্কের মুখে পড়তে হয় তাকে।
আর তার কারণ ছিল, একটি ছবিতে নগ্ন দৃশ্যে অভিনয়। ছবির নাম ছিল ‘দালাল’। মিঠুন চক্রবর্তী (Mithun Chakraborty) এবং রাজ বব্বরের সঙ্গে অভিনয় করেছিলেন আয়েশা। সিনে বিশেষজ্ঞদের মতে, বাবলি গার্ল হিসেবে পরিচিত আয়েশাকে বোল্ড রূপে মেনে নিতে পারেনি দর্শক মহল।
যদিও সম্পর্কে আয়েশা বলেছিলেন তিনি এটা করেননি। তার বদলে ‘বডি ডাবল’ ব্যবহার করা হয়েছিল। এমনকি সিনেমার শ্যুটের সময় তাকে এ বিষয়ে নাকি জানানোও হয়নি। তখনই তিনি এক সাক্ষাত্কারে জানিয়ে দিয়েছিলেন, বলিউড থেকে তিনি এবার বিরতি নেবেন। এত মানসিক চাপ তিনি আর নিতে পারছেন না।
এরপর ২০০৩ সালে আয়েশা তার জীবনের নতুন অধ্যায় শুরু করেন। পরিচালক সমীর ভাশিকে বিয়ে করে সংসারে মন দেন। তারপর দীর্ঘদিন লাইমলাইট থেকে আড়ালে ছিলেন । তবে তিনি আবারও ‘হাশ হাশ এবং হ্যাপি ফ্যামিলি: কন্ডিশনস অ্যাপ্লাই’-র মতো ওয়েব সিরিজের মধ্য দিয়ে কামব্যাক করেছেন।