মানবদেহে গড়ে উঠছে একটি নতুন অঙ্গ, এর কাজ জানলে অবাক হবেন

মানবদেহে একটি নতুন অঙ্গের সন্ধান পাওয়া গেছে। এর কাজ কি জানলে আপনি অবাক হবেন। এই অঙ্গটি শরীরের সেই অংশ গড়ে উঠেছে যার মাধ্যমে আপনি অনেক কাজ করতে পারেন। গায়ের রং, উচ্চতা যেমনই হোক না কেন আমাদের শরীর সময়, প্রয়োজন, ঋতু এবং স্থান অনুযায়ী নিজেকে পরিবর্তন এবং মানিয়ে নিতে থাকে।

আসলে মানব শরীরের একটি নতুন শিরা তৈরি হচ্ছে। হাতের সামনের অংশে এই শিরাটি তৈরি হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ার একদল গবেষক মানুষের হাতের এই নতুন শিরাটির আবিষ্কার করেছেন। এই শিরাটি হাতে সামনের অংশে মাঝখানে অর্থাৎ বাহুতে তৈরি হচ্ছে। ১৮৮০ সালে বিশ্বে এই শিরার মাত্র ১০% লোক ছিল। কিন্তু বিংশ শতাব্দীতে নতুন শিরার উপস্থিত মানুষের সংখ্যা ৩০ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে।

Image

বিজ্ঞানীরা যে নতুন শিরা আবিষ্কার করেছেন তার নাম মিডিয়ান আর্টারি। উপরে দেওয়া ছবিতে কব্জি থেকে উপরের বাহুর মধ্যবর্তী শিরাটি হল নতুন শিরা। ১০০ বছর আগে এই শিরাটি থাকা একটি বিরল ঘটনা ছিল কিন্তু এখন অনেকেরই হাতে দেখা যাচ্ছে। এই শিরাটি আপনার শরীরের তখনই তৈরি হবে যখন আপনি মায়ের গর্ভে ভ্রুনের আকারে থাকেন। কিন্তু অনেক সময় বড় হতে হতে আর দেখা যায় না। এই শিরা যাদের রয়েছে তারা আরও রক্ত প্রবাহের প্রয়োজন অনুভব করছে।

দাবি করা হচ্ছে যে, যাদের শরীরে এই শিরা রয়েছে তাদের রক্ত সরবরাহ অন্যান্য মানুষদের তুলনায় ভালো এবং দ্রুত হয়। এই শিরাটি কেবল সেই লোকেদের শরীরে গড়ে উঠছে যাদের আরও এবং দ্রুত রক্ত প্রবাহের প্রয়োজন। এমনও হতে পারে এই শিরাটি কেবলমাত্র সেইসব লোকেদের মধ্যে গড়ে উঠেছে যাদের গর্ভ অবস্থায় মায়ের কোনও সমস্যা ছিল। মা ও শিশুকে বাঁচিয়ে রাখার জন্য শিরাটির বিকশিত হয়েছে।

বলা হয়, যাদের শরীরের রক্ত প্রবাহ ভালো তারা বেশি শক্তিশালী এবং তাদের চিন্তাধারাও দ্রুত হয়ে থাকে। এক বিশেষজ্ঞের মতে, যদি এই শিরাটির বিকাশের ধারা অব্যাহত থাকে, তবে ২১০০ সাল নাগাদ পৃথিবীর বেশিরভাগ মানুষের হাতে এই শিরাটি থাকবে। এটি শিম্পাঞ্জি বা গরিলার আঙুলের মত মানুষের আঙুলকে আরও শক্তি দেবে। এই গবেষণাটি অ্যানাটমি জার্নালে প্রকাশিত হয়েছিল।