বর্তমানে মুঠোর মধ্যে স্মার্টফোন থাকা সত্ত্বেও বিশ্বের এমন কিছু জায়গা রয়েছে যা গুগল ম্যাপের সাহায্যে নিয়েও আপনি খুঁজে পাবেন না। বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন সেখানকার নিরাপত্তা ও গোপনীয়তার কারণে এই জায়গাগুলি কে গুগল ম্যাপে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি।
একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এই জায়গাগুলো জার্মানি, নেদারল্যান্ডস, স্পেন, তাইওয়ান ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থিত।
ন্যাটোর বিমানঘাঁটি:
সামরিক জোট ন্যাটোর একটি বিমানঘাঁটি আছে জার্মানিতে। গিয়েলেনকির্চেন নামের এ জায়গায়টি মাইক্রোসফটের বিংয়ে ব্লক করা নেই। তবে গুগল ম্যাপে ওই জায়গাটি পিক্সেল করে দেখানো হয়।
ন্যাশনাল সিকিউরিটি ব্যুরো:
চীনের জাতীয় নিরাপত্তা ব্যুরোর সদর দপ্তরটিও গুগল ম্যাপে চাইলেও আপনি বের করতে পারবেন না। তাইওয়ানে অবস্থিত এ জায়গায় চীনের কয়েকটি গোয়েন্দা সংস্থার কার্যালয়ও আছে।
রোজেজ:
লোস ডোলোরেসের মতো স্পেনের আর একটি জায়গাও গুগল ম্যাপে পাওয়া যায় না। অনুমান করা হয়, এ জায়গা থেকে মার্কিন বিমানবাহিনীর ৮৭৫তম আধুনিক বিমানটি নিয়ন্ত্রণ করা হয়। এখান থেকে ওই বিমানে বিভিন্ন সতর্কবার্তাও পাঠানো হয়। স্পেনের রোজেজ জায়গাটি গুগল ম্যাপে পাওয়া যায় না।
ভলক্যাল বিমানঘাঁটি:
নেদারল্যান্ডসের ভলক্যাল বিমানঘাঁটিটি খুঁজলেও নাকি গুগল ম্যাপে পাওয়া যায় না। মার্কিন বিভিন্ন গোপন নথি প্রকাশ করে হইচই ফেলে দেওয়া সাড়া জাগানো ওয়েবসাইট উইকিলিকসের অভিযোগ, এই বিমানঘাঁটিতে স্নায়ুযুদ্ধের সময়কার ২২টি পারমাণবিক বোমা লুকিয়ে রেখেছে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র।
ইসরায়েল:
আপনি চাইলেও পুরো ইসরায়েল গুগল ম্যাপে দেখতে পাবেন না। জুম করলে মনে হবে কিছু ভবন কিন্তু আসলে তা নয়।
লোস ডোলোরেস:
স্পেনের লোস ডোলোরেসের হ্যালিপোয়েরতো ডি কার্টাগেনা নামের জায়গাটিও চাইলেই আপনি গুগল ম্যাপে পাবেন না। এই জায়গা সম্পর্কে তেমন কোনো তথ্যও খুব একটা জানা নেই কারও। গুগলের স্ট্রিট ভিউয়ে খুঁজলেও পাওয়া যায় না এর অবস্থান।
হাডসপেথ কাউন্টি:
টেক্সাসের একটি অংশ, যার নাম হাডসপেথ কাউন্টি সেখানে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও মেক্সিকোর সীমান্ত এলাকা আছে। এই সীমান্তের প্রায় ১৫ কিলোমিটার দূরে মেক্সিকোর সিউদাদ জুয়ারেজ এলাকাটি গুগল ম্যাপে লুকিয়ে রাখা হয়েছে।