বলিউডের বহু তারকা হারিয়ে গিয়েছে অন্ধকারে অথচ এককালে যাঁরা দাপিয়ে বেরিয়েছেন বলিউড জুড়ে।তেমনই এক অভিনেত্রী বরখা মদন (Barkha Madan)। যিনি শুধুমাত্র বলিউড নয়, এককালে হিন্দি সিরিয়ালেও অভিনয় করেছেন। এমনকী সুস্মিতা সেন, ঐশ্বর্য রাইদের সঙ্গেও মিস ইন্ডিয়া প্রতিযোগিতাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
১৯৯৪ সালের ওই প্রতিযোগিতায় সুস্মিতা সেন বিজয়ী হয়েছিলেন। ঐশ্বর্য রাই প্রথম রানার আপ হয়েছিলেন। আর বরখাকে মিস ট্যুরিজম ইন্ডিয়া (Miss Tourism India) হিসেবে নির্বাচিত হন। মালয়েশিয়া মিস ট্যুরিজম ইন্টারন্যাশনালের তৃতীয় রানার আপও হয়েছিলেন বরখা। এই প্রতিযোগিতাই তার কেরিয়ারের টার্নিং পয়েন্ট হয়ে দাঁড়ায়।
এরপর ১৯৯৬ সালে সরাসরি ‘খিলাড়িও কা খিলাড়ি’ (Khiladiyon Ka Khiladi) ছবি দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ। এই ছবিতে অক্ষয় কুমার, রেখা এবং রবীনা ট্যান্ডন-এর সঙ্গে অভিনয়ের জন্য দারুণ প্রশংসাও পেয়েছিলেন বরখা। যার জন্য তাকে রামগোপাল ভার্মার ছবি ‘ভূত’ (Bhoot) এর জন্যেও দর্শকরা মনে রেখেছেন।
শুধু অভিনয় নয়, এক সময় বরখা প্রযোজনাকে তার পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছিলেন। তিনি বেশ কিছু ছবির প্রযোজনাও করেন। কিন্তু এই ছবিগুলি সেভাবে চলেনি। ঠিক সময়েই তিনি দলাই লামার সান্নিধ্য লাভ করেন। দলাই লামার জীবন দর্শন তাকে আকৃষ্ট করে। তাই ২০১২ সালে বরখা সবকিছু ছেড়ে দিয়ে বৌদ্ধ ধর্ম গ্রহণ করার সিদ্ধান্ত নেন।
একসময়ের মিস ইন্ডিয়া থেকে বলিউড নায়িকা,গত দশ বছর ধরে গ্ল্যামারের জীবন পুরোপুরিই ছেড়ে আজ কৃচ্ছসাধনার মধ্যে দিয়ে জীবন অতিবাহিত করছেন। সন্ন্যাসী হয়ে যাওয়ার পর তার নতুন নাম এখন হয়েছে গ্যালটন স্যামটেন। অভিনয় দুনিয়া থেকে চিরতরে বিদায় নিলেও সোশ্যাল মিডিয়াতে কিন্তু বেশ সক্রিয় থাকেন তিনি।
বরখা তার আধ্যাত্মিক জীবনযাপনের নানা দিক নিয়মিত সোশ্যাল মিডিয়াতে পোস্ট করেন। এখন তার চেহারা দেখলেও চিনতে পারা মুস্কিল। চুল কামিয়ে একেবারে ন্যাড়া হয়ে গিয়েছেন অভিনেত্রী। কোনরকম বিলাসিতা ছাড়াই, বৌদ্ধদের মত সাধারণ এবং কঠোর জীবনযাপন করেন তিনি। ভোগ, লালসা ছেড়ে তিনি বৌদ্ধ ভিক্ষুদের মত ত্যাগের জীবন কাটাচ্ছেন।