Arijit Singh: যে ক’জন বাঙালি শিল্পী ভারতীয় সংগীতকে সমৃদ্ধ করেছেন, তাদের মধ্যে অরিজিৎ সিং একজন। এই জেনারেশনের ছেলেমেয়েদের কাছে অরিজিৎ সিং-র গান মানেই হল ভালোবাসা ও আবেগের একটি জায়গা। ২০০৫ সালে ‘ফেম গুরুকুল’ এর প্রতিযোগী ছিলেন অরিজিৎ। হিন্দির পাশাপাশি বাংলা ছবিতে তার গাওয়া অসংখ্য হিট গান রয়েছে।
১৯৮৭ সালের ২৫ এপ্রিল, এই দিনে পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদ জেলার জিয়াগঞ্জে জন্মগ্রহণ করেন অরিজিৎ সিং। প্রথমে তিনি সংগীত প্রোগ্রামার হিসেবে তার ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন। এরপর বেশ কিছু সংগীত পরিচালকের সাথে সহযোগী হিসেবে কাজ করেন। বলিউডে তার গাওয়া প্রথম গানটি ছিল ‘মার্ডার টু’ এর ফির মহব্বত গানটি। গানটি মোটামুটি জনপ্রিয়তা পেলেও ২০১৩ সালে ‘আশিকি টু’ এর কয়েকটি গানের জন্যই তিনি রাতারাতি জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন।
বিশেষ করে ‘তুম হি হো’ গানটি গাওয়ার কারণে তিনি সঙ্গীত প্রেমীদের কাছে আইকন হয়ে ওঠেন। এটাই তাকে রাতারাতি জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছে দেয়। এমনকি এই গানটির জন্য ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ডে সেরা গায়কের পুরস্কারও অর্জন করেছিলেন। এরপর মুসকুরানে, সুরাজ ডুবা হ্যায়, এ দিল হ্যায় মুশকিল গানের জন্য ধীরে ধীরে তিনি সঙ্গীত জগতে একটা নিজস্ব পরিচয় তৈরি করেন।
তবে এখন প্রশ্ন হল অরিজিৎ সিং একটি গানের জন্য কত টাকা পারিশ্রমিক নেন? এমনকি তার অনেক ভক্তও এ বিষয়ে ততটা অবগত নন। বর্তমানে ছবিগুলির বেশিরভাগ রোমান্টিক গানগুলোই অরিজিৎ সিং এর কন্ঠে শুনতে পাওয়া যায়। মিডিয়া রিপোর্ট অনুযায়ী জানা গেছে তিনি একটি গানের জন্য ১৫ লক্ষ টাকা চার্জ করে থাকেন। এছাড়াও একটি কনসার্ট পার্টির জন্য ৫০ লক্ষ থেকে ১ কোটি টাকা নেন।
অরিজিৎ সিং জনপ্রিয়তার শিখরে পৌঁছালেও তিনি একজন সাধারণ মানুষের মতো জীবন যাপন করতে ভালোবাসেন। আজও তিনি পৈতৃক নিবাস জিয়াগঞ্জে বাস করেন। তার ব্যক্তিগত জীবনের কথা বললে তার প্রথম বিয়েটা টেকেনি, এরপর তার ছেলেবেলার বান্ধবী কোয়েল রায়কে বিয়ে করে। বর্তমানে তিনটি সন্তান রয়েছে। ২০১৬ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত টানা পাঁচবার ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড এর রেকর্ড তৈরি করেছেন। এর আগে এই রেকর্ড কুমার শানুর নামে ছিল। এর পাশাপাশি তিনি একটি এনজিও সংস্থাও চালান।