মহাভারতের এমন কিছু গল্প রয়েছে যার রহস্যের শেষ নেই। একইভাবে অর্জুন সম্পর্কিত অনেক কাহিনী বর্ণিত রয়েছে। মহান যোদ্ধা অর্থাৎ অর্জুন তার জীবদ্দশায় এক বছর নারী হিসেবে কাটিয়েছিলেন। কথিত আছে তিনি একজন পুরুষ এবং মহিলা উভয়ই হওয়ার জন্য অভিশপ্ত ছিলেন এবং তাই তিনি একজন ট্রান্সজেন্ডার হন।
পাশা খেলায় পরাজিত হওয়ার পর পাণ্ডবগণ এবং দ্রৌপদীকে ১৩ বছরের জন্য বনবাসে পাঠানো হয়, যেখানে ১ বছরের অজ্ঞাতবাসেও থাকতে হবে। এইসময় অর্জুনকে এক বছরের জন্য বৃহন্নলার রূপ ধারণ করতে হয়েছিল।
তখন পাণ্ডবরা সর্বস্ব হারা এবং তাদের এক বছর আত্মগোপন করতে হয়। এই সময় পাণ্ডবগণ এবং দ্রৌপদীও রূপ পরিবর্তন করেছিল। যদি তারা আসল রূপে থাকতেন তাহলে তাদের পরিচয় গোপন করা সম্ভব ছিল না এবং তাই সবাই মৎস্য জেলার রাজধানী বিরাটনগরে বসবাস করতে শুরু করেন।
এদিকে পদ্মপুরানে বলা হয়েছে, একদিন অর্জুন শ্রীকৃষ্ণকে এমন কিছু জিজ্ঞাসা করেছিলেন যা ব্রহ্মা এবং শিবও জানতেন না। অর্জুন জানতে চেয়েছিলেন, শ্রীকৃষ্ণের কত গোপী আছে, তারা দেখতে কেমন, কি পরিধান করে, শ্রীকৃষ্ণের রাসলীলায় তারা কোথায় থাকে, শ্রীকৃষ্ণ কিভাবে তাদের সাথে সময় কাটান? এসব প্রশ্নের উত্তর দিতে অস্বীকার করে শ্রীকৃষ্ণ বললেন এ রহস্য কেউ জানতে পারবে না।
তখন অর্জুন শ্রীকৃষ্ণের পা ধরেন এবং শ্রীকৃষ্ণ তাকে ত্রিপুরাসুন্দরীর কাছে পাঠালেন যার থেকে এই সৃষ্টির সৃষ্টি হয়েছে। দেবী ত্রিপুরাসুন্দরী অর্জুনকে একটি কঠিন পূজা করান এবং তারপরে তাকে একটি পুকুরে ডুব দিতে বলেন। ডুব দেওয়ার পর অর্জুন অর্জুনীর রূপ ধারণ করেন এবং তিনি মাথা থেকে পা পর্যন্ত অত্যন্ত সুন্দরী গোপী হয়ে বেরিয়ে এলেন।