যারা নিজেদের ধর্মকে বিশেষভাবে অনুসরণ করে চলেন, পৌরাণিক তাৎপর্যগুলি তাদের হৃদয়ে একটি বিশেষ স্থান দখল করে রয়েছে। প্রতিটি ধর্মের কিছু না কিছু পৌরানিক তাৎপর্য রয়েছে যা মানুষের বেঁচে থাকার, বিশ্বাস রাখার এবং তাদের কাজেকর্মে অনুপ্রেরণা দেয়।
হিন্দু ধর্মে বিশ্বাস অনুযায়ী, ভগবত গীতায় শিক্ষা সম্বন্ধীয় বহু প্রসঙ্গ রয়েছে যেগুলি অবশ্যই আপনার জানা উচিত। তেমনই কয়েকটি বিষয় তুলে ধরা হলো:-
১) যা ঘটছে তা অনিবার্য এবং অবশ্যম্ভাবী। আপনাকে বিশ্বাস করতে হবে যা ঘটছে তা মানুষের মঙ্গলের জন্যই ঘটছে। এরমধ্যে হস্তক্ষেপ করার বা একে থামানোর কোন অধিকার নেই।
২) ভগবত গীতা আপনাকে শুধুমাত্র কর্ম করে যাও অনুমতি দেয় ফলের চিন্তা না করে। তাই আপনার কর্মফলের ওপর কোনো দাবি নেই।
৩) আত্মা অমর এবং একে কখনোই ধ্বংস করা যায় না। একজন ব্যক্তির মৃত্যুর পর আত্মা কেবল শরীর পরিবর্তন করে।
৪) একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো গচ্ছিত সম্পত্তি সম্বন্ধে চিন্তা করা বন্ধ করুন। খালি হাতে আপনি জন্মেছিলেন সেই অবস্থাতেই পৃথিবী ছেড়ে চলে যাবেন। মৃত্যুর পর আপনি কোন কিছু সাথে নিয়ে যেতে পারবেন না।
৫) গীতায় বলা হয়েছে লোভ, লালসা, ক্রোধ এইগুলি মানুষের প্রকৃতি এবং চরিত্রকে নষ্ট করে। শান্তিপূর্ণ জীবন পেতে হলে এগুলি ত্যাগ করতে হবে।
৬) সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো — সন্দেহ পরিত্রাণ না করলে মানসিক শান্তি পাওয়ার আশা কখনই করবেন না।
৭) গীতায় বলা হয়েছে ‘যেমনি কর্ম, তেমনি ফল’। মৃত্যুর পর আপনাকে আপনার কর্মের জন্য দণ্ড বা পুরস্কার পেতেই হবে।
৮) অন্য কারো কাছ থেকে সম্মান পেতে চাইলে আগে অন্যদের সম্মান করুন। আপনি যদি কাউকে সম্মান না করেন তাহলে অন্যদের কাছ থেকে সম্মান পাওয়ার আশা করবেন না।
৯) গীতায় বলা হয়েছে জীবনে সম্পদ বা অসুবিধা কোন কিছুই বেছে নিতে পারবেন না। জীবন আপনাকে সেটাই দেবে তাই মেনে নিতে হবে। এই বিষয়গুলি অবশ্য আপনার পূর্বকৃত-কর্মফলের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে সম্পর্কিত।
১০) জগত ও সংসার ভগবান শ্রীকৃষ্ণের সৃষ্টি এবং সবই তার ইচ্ছাতেই ঘটছে। একজন মানুষ হিসেবে এর বাইরে কোন কিছু চিন্তা করার অধিকার নেই।