প্রতিটি খেলোয়াড়ের স্বপ্ন থাকে দেশের হয়ে বিশ্বকাপ খেলা এবং নিজের সেরাটা দিয়ে দেশকে চ্যাম্পিয়ন করার লক্ষ্য নিয়ে তারা এগিয়ে যায়। আজকের আলোচ্য বিষয় অনুযায়ী, বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচটি ফাইনাল ম্যাচের মতোই গুরুত্বপূর্ণ হয়ে থাকে।
তবে এখনো পর্যন্ত যে পাঁচ জন ব্যাটসম্যান বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে দলকে ফাইনালে তুলেছেন; এবার তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
স্টিভ স্মিথ: বিশ্বকাপ ২০১৫
২০১৫ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল অস্ট্রেলিয়া দল। স্টিভ স্মিথ এর দুরন্ত সেঞ্চুরির দৌলতে অস্ট্রেলিয়া দল ৩২৮ রানের পাহাড় করে। তার এই ১০৫ রানের ইনিংসটিতে সাজানো ছিল ২টি ছক্কা ও ১১টি বাউন্ডারি। জবাবে ভারতীয় দল মাত্র ২৩৩ রানে গুটিয়ে যায় এবং সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন স্টিভ স্মিথ।
মাহেলা জয়াবর্ধনে: বিশ্বকাপ ২০০৭
২০০৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনাল ম্যাচে নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলঙ্কা দল। মাহেলা জয়াবর্ধনের ব্যাটিং এর উপর ভর করে ২৮৯ রান খাড়া করে শ্রীলঙ্কা। তার অপরাজিত ১১৫ রানের ইনিংসটিতে সাজানো ছিল ৩টি ছক্কা ও ১০টি বাউন্ডারি। জবাবে নিউজিল্যান্ড দল ২০৮ রানে গুটিয়ে যায় এবং ম্যাচের সেরা হন মাহেলা জয়াবর্ধনে।
সৌরভ গাঙ্গুলী: বিশ্বকাপ ২০০৩
২০০৩ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে কেনিয়ার মুখোমুখি হয়েছিল ভারতীয় দল। প্রথমে ব্যাটিং নিয়ে শচীন (৮৪) ও সৌরভ দুর্দান্ত (১১১*) ইনিংস খেলে ভারতীয় দলকে ২৭০ রানে খাড়া করে। সৌরভ গাঙ্গুলীর এই ইনিংসটিতে সাজানো ছিল ৫টি ছক্কা ও ৫টি বাউন্ডারি। জবাবে কেনিয়া দল মাত্র ১৭৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন সৌরভ গাঙ্গুলী।
সাঈদ আনোয়ার: বিশ্বকাপ ১৯৯৯
১৯৯৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালের নিউজিল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল পাকিস্তানি দল। ম্যাচে প্রথমে নিউজিল্যান্ড ব্যাট করে ২৪১ রান তোলে। জবাবে পাকিস্তান সাঈদ আনোয়ারের ব্যাটিং এর উপর ভর করে প্রয়োজনীয় রান তুলে নেয়। ১৪৮ বলে তার ১১৩ রানের অপরাজিত ইনিংসটিতে সাজানো ছিল কেবল ৯টি বাউন্ডারি।
গ্রাহাম গুচ: ১৯৮৭ বিশ্বকাপ
১৯৮৭ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ইংল্যান্ডের মুখোমুখি হয়েছিল ভারতীয় দল। এই ম্যাচে গ্রাহাম গুচের ব্যাটিং এর উপর নির্ভর করে ইংল্যান্ড দল ২৫৪ রান তোলে। তার ১১৫ রানের ইনিংসটিতে সাজানো ছিল কেবল ১১টি বাউন্ডারি। জবাবে ভারতীয় দল ২১৯ রানে অলআউট হয়ে যায়। এই ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হন গ্রাহাম গুচ।