৩ মহান ভারতীয় ক্রিকেটার যারা তাদের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত বিদায় পেয়েছিলেন

দুর্দান্ত বিদায় পেয়েছিলেন যে ৩ জন ভারতীয় ক্রিকেটার

3 Indian Cricketers : ক্রিকেট ইতিহাসে অনেক দুর্দান্ত খেলোয়াড় এসেছেন এবং তাদের খেলা দিয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছিলেন। এমনি কিছু খেলোয়াড় জন্মেছিলেন ভারতের বুকে এবং আজ তাদের মহান ও কিংবদন্তি খেলোয়াড় হিসেবে গণ্য করা হয়। তবে এক সময় এই সকল খেলোয়াড়দের যখন অবসর নিতে হয় সেই মুহূর্তটি তাদের ও ক্রিকেটপ্রেমীদের আছে খুবই আবেগঘন হয়ে ওঠে।

এই প্রতিবেদনে এমনই কিছু ভারতীয় খেলোয়াড়ের কথা বলা হয়েছে যারা তাদের শেষ ম্যাচে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে বিদায় নিয়েছিলেন। সকল খেলোয়ারা তাদের ক্যারিয়ারে অনেক রেকর্ড গড়েছেন। কিন্তু এক সময় তাদের অবসর জানাতে হয়েছিল। সেই মুহূর্তটি খেলোয়াড়দের পাশাপাশি ভক্তদের কাছেও অত্যন্ত আবেগময় ছিল।

৩) সৌরভ গাঙ্গুলী (Sourav Ganguly): এক সময় ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়া ভারতীয় দলকে নতুন করে গড়ে তুলতে সাহায্য করেছিলেন সৌরভ গাঙ্গুলী এবং বিদেশের মাটিতে জিততেও শিখিয়েছিলেন। এ সত্ত্বেও তার ক্যাপ্টেন্সি থেকে বাদ পড়া অত্যন্ত হতাশাজনক ছিল।

২০০৮ সালে নাগপুরে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তার শেষ টেস্ট ম্যাচ খেলেন। গাঙ্গুলীর প্রতি শ্রদ্ধার জন্য মহেন্দ্র সিং ধোনি শেষ কয়েক ওভার তাকে অধিনায়কত্ব তুলে দিয়েছিলেন। গাঙ্গুলি শেষ ম্যাচে ৮৫ রানের একটি ইনিংস খেলেন এবং ভারতীয় দল ১৭২ রানে জয় লাভ করে। এরপর তার সতীর্থরা তাদের প্রিয় অধিনায়ককে কাঁধে তুলে বিদায় জানিয়েছিলেন।

২) অনিল কুম্বলে (Anil Kumble): অনিল কুম্বলেকে সেরা ম্যাচ জয়ী হিসেবে বিবেচনা করা হয়। পাকিস্তানের বিপক্ষে একটি টেস্ট ইনিংসে ১০ উইকেট নিয়ে ইতিহাস সৃষ্টি করেন। অনিল কুম্বলে এখনও ভারতীয় ক্রিকেট ইতিহাসের সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি। ২০০৮ সালে অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তার শেষ টেস্ট ম্যাচে অধিনায়কত্বও করেন। ম্যাচ শেষে তাকে অত্যন্ত সম্মানের সাথে বিদায় জানানো হয়েছিল।

১) শচীন টেন্ডুলকার (Sachin Tendulkar): ‘ক্রিকেট’ ও ‘শচীন টেন্ডুলকার’ হয়তো এ দুটি শব্দ একে অপরের পরিপূরক। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ১০০টি সেঞ্চুরি সহ ৩৪ হাজারেরও বেশি রান করেছেন তিনি আর এই কারণেই সম্ভবত তাকে ‘ক্রিকেট ঈশ্বর’ বলা হয়। টানা ২৪ বছর ভারতের প্রত্যাশার বোঝা বহন করার পর যখন তার শেষ ম্যাচটি খেলেছিলেন সবার চোখ ভিজে গিয়েছিল।

২০১৩ সালে বিদায়ী ম্যাচের পর শচীন টেন্ডুলকার ভাষণ দিতে শুরু করলে সকলেই অত্যন্ত আবেগময় হয়ে পড়েছিলেন। সবাই দুঃখিত ছিল যে, তাদের প্রিয় ক্রিকেটারকে আর কখনো ২২ গজে দেখতে পাবে না।