টি-টোয়েন্টির আগে ব্যাটসম্যানরা টেস্ট ও ওয়ানডে ক্রিকেটে প্রচুর রান করেছেন তারা। ২০০১ থেকে ২০১০ সাল অবধি ব্যাটসম্যানরা ব্যাট হাতে শাসন করে এসেছেন। এই সময়ের সেরা ব্যাটসম্যানের কথা বলতে গেলে, শচীন টেন্ডুলকার থেকে শুরু করে রিকি পন্টিং, জ্যাক কালিস, ব্রায়ান লারা, রাহুল দ্রাবিড়, কুমার সাঙ্গাকারা অনেকেই ছিলেন। আজকের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, উক্ত সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী পাঁচ ব্যাটসম্যানের সম্পর্কে:-
১) রিকি পন্টিং: ১৯,৭১৮ রান
চলতি শতাব্দীর প্রথম দশকে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহের তালিকায় রিকি পন্টিং সবার শীর্ষে রয়েছেন। এই প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ার অধিনায়ক ৩৭৮টি ম্যাচে ৪৫.৫৬ ব্যাটিং গড় নিয়ে ১৯,৭১৮ রান করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ৫৫টি সেঞ্চুরি ও ১০৬টি হাফ সেঞ্চুরি।
২) কুমার সাঙ্গাকারা: ১৭,০৬৯ রান
শ্রীলঙ্কা দলের বিখ্যাত ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন। এই সময়ের মধ্যে তিনি ৩৮৪টি ম্যাচে ৪৪.১০ ব্যাটিং গড় নিয়ে ১৭,০৬৯ রান করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ৩৪টি সেঞ্চুরি ও ৯৫টি হাফ সেঞ্চুরি। জানিয়ে রাখি, আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে সর্বোচ্চ রান সংগ্রহকারী ব্যাটসম্যানের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন।
৩) জ্যাক কালিস: ১৬,৭১২ রান
দক্ষিণ আফ্রিকার দুর্দান্ত অলরাউন্ডার জ্যাক কালিস তার সময়ের সেরা ক্রিকেটার বলে গণ্য হতেন। এই সময়ে তিনি ৩০৮টি ম্যাচে ৫৪.০৮ দুর্দান্ত ব্যাটিং গড় নিয়ে ১৬,৭১২ রান করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ৪৩টি সেঞ্চুরি ও ৯৮টি হাফ সেঞ্চুরি।
৪) মাহেলা জয়াবর্ধনে: ১৬,২৬৯ রান
শ্রীলঙ্কার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান মাহেলা জয়াবর্ধনে এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন। তিনিও এই দশকে রান করার দিক দিয়ে শচীন টেন্ডুলকারকে ছাপিয়ে গিয়েছিলেন। জয়াবর্ধনে ৩২৯টি ম্যাচে ৪১.৫০ ব্যাটিং গড় নিয়ে ১৬,২৬৯ রান করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ৩৪টি সেঞ্চুরি ও ৮৩টি হাফ সেঞ্চুরি।
৫) শচীন টেন্ডুলকার: ১৫,৮২৫ রান
বিখ্যাত ভারতীয় ব্যাটসম্যান শচীন টেন্ডুলকার এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন। যদিও কিছু সময় ধরে তিনি শারীরিক সমস্যার কারণে ক্রিকেট থেকে দূরে ছিলেন। এই তালিকায় সকলের চেয়ে অনেক কম ম্যাচ খেলেছেন, না হলে পরিসংখ্যানটা অন্যরকম হতে পারত। এই সময়ের মধ্যে তিনি ২৭৭টি ম্যাচে ৪৫.৪০ ব্যাটিং গড় নিয়ে ১৫,৮২৫ রান করেছেন। যার মধ্যে রয়েছে ৪৫টি সেঞ্চুরি ও ৭৮টি হাফ সেঞ্চুরি।