Optical Illusion: ‘অপটিক্যাল ইলিউশন’ মানেই হলো চোখের সাথে প্রতারণা। এগুলি এমন এক ধরনের বিভ্রম যা আমরা চোখ দিয়ে দেখেও তা স্পষ্টভাবে উপলব্ধি করতে পারি না। আমরা চিত্র দ্বারা সহজেই ভুল ব্যাখ্যা করি বা প্রতারিত হই। এই প্রতিবেদনে তেমনি একটি ধাঁধার ছবি নিয়ে আসা হয়েছে যেখানে রয়েছে তিনটি পার্থক্য।
ছবিতে দেখতে পাচ্ছেন একটি লাল রঙের মোরগ বাড়ির সামনে দাঁড়িয়ে রয়েছে। বাড়ির পিছনটা ঘন জঙ্গল। কিন্তু এরই মধ্যে তিনটি এমন পার্থক্য লুকিয়ে রয়েছে যা আপনাকে খুঁজতে হবে। যদিও ছবিটি খুবই পরিষ্কার কিন্তু অনেকেই পার্থক্যগুলি সনাক্ত করতে হিমশিম খাচ্ছেন।
দাবি করা হয়েছে, আপনি যদি ২০ সেকেন্ডের মধ্যে লুকিয়ে থাকা পার্থক্যগুলি খুঁজে পান, তাহলে জানবেন আপনার মস্তিষ্ক অন্যান্যদের তুলনায় অনেক দ্রুত চলে এবং আপনি একজন জিনিয়াস। যদিও বেশিরভাগ মানুষই এই ছবিতে থাকা পার্থক্যগুলি অনুসন্ধান করতে ব্যর্থ হয়েছেন।
কিন্তু আপনার ক্ষেত্রেও যদি এখনো এই চ্যালেঞ্জটি সম্পূর্ণ করা সম্ভব না হয়, তাতে চিন্তা করার কিছু নেই, আমরা ছবির পার্থক্যগুলি মার্ক করে বুঝিয়ে দিয়েছি। অপটিক্যাল ইলিউশনের ছবিগুলি শুধুমাত্র মানুষকে কৌতুহলী করে তোলে না, বরং পর্যবেক্ষণ দক্ষতা, মস্তিষ্কের বিকাশে এবং চোখের দৃষ্টিশক্তিকে উন্নত করে।
ছবির প্রথম পার্থক্যটি রয়েছে বাড়ির জানালায়। দ্বিতীয় এবং তৃতীয় পার্থক্যটি মুরগির মধ্যে রয়েছে। একটি মুরগির দেহের সামনে আরেকটি পিছনে। বেশিরভাগ মানুষই এই ধরনের ছবি দেখে বিভ্রান্ত হন। যদিও কিছু মানুষ দ্রুত পার্থক্যগুলি অনুসন্ধান করতে পারেন। সর্বোপরি এগুলি মস্তিষ্কের জন্য ভালো ব্যায়ামও।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, নিয়মিত ধাঁধার সমাধানের মাধ্যমে আপনি একজন ভালো পর্যবেক্ষক হয়ে উঠতে পারেন। এগুলি মস্তিষ্কের সংযোগকারী কোষ গুলিকে আরও সক্রিয় করে তোলে। ফলে যে কোন সিদ্ধান্তকে সহজে নিতে পারেন। তবে এর জন্য বিশেষ দক্ষতার প্রয়োজন হয় না, একটু পারিপার্শ্বিকও ভিন্নভাবে চিন্তা করলেই ছবির রহস্য বেরিয়ে আসে।