অনূর্ধ্ব -১৯ বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে ভারত পাকিস্তানকে দশ উইকেটে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। টুর্নামেন্টের প্রথম সেঞ্চুরি (১০৫*) করেন এবং গুরুত্বপূর্ণ একটি উইকেটও নেন ভারতের এই জয়ের নায়ক যশস্বী জয়সওয়াল। যশস্বী পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে খেলা পাঁচটি ম্যাচে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরি এবং একটি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন এবং একটি ম্যাচে ২৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। পুরো টুর্নামেন্টে তিনি ১৫৬ গড়ে সর্বোচ্চ রান করেছেন।
গত বছর ঘরোয়া ক্রিকেটে দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছেন। তিনি ঝাড়খন্ডের বিপক্ষে ১৪৯ বলে নিজের প্রথম ডাবল সেঞ্চুরি করেছিলেন এবং সর্বকনিষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে এই কৃতিত্ব অর্জন করেন। শুধু তাই নয়, তিনি বিজয় হাজারে ট্রফির একটি ইনিংসে সর্বোচ্চ ১২ টি ছক্কা মারার রেকর্ডও করেছেন।
তবে এই তরুণ ক্রিকেটারের জীবনটা খুব সহজ ছিল না। অনেক কষ্টে তিনি আজ এখানে পৌঁছেছেন। শুধুমাত্র পেট চালাবার জন্য আজাদ ময়দানে রামলীলা চলাকালীন ফুচকা বিক্রি করতেন আবার কখনো কখনো ফল বিক্রি করতে দেখা গেছে। এমনও কিছু রাত কেটেছে খাবার জোটাতে না পেরে। এছাড়াও তিনি যেখানে ক্রিকেট খেলতেন সেখানকার গ্রাউন্ডসম্যান তরুণ ক্রিকেটারদের সাথে ঝামেলা বাধিয়ে রাতে কোন কিছু খাবার তৈরি করতেন না, সুতরাং খালি পেটে রাত কাটাতে হতো।
এরপর শচীনের ছেলে অর্জুন টেন্ডুলকার এর সাথে তার খুবই ভালো বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে বেঙ্গালুরু জাতীয় ক্রিকেট একাডেমিতে। সেই সময় তারা একই ঘরে থাকতেন। যশস্বী কে অর্জুন তার বাড়িতে নিয়ে গিয়ে শচীন টেন্ডুলকারের সাথে পরিচয় করে দিয়েছিলেন। মাস্টারব্লাস্টারও তার সাথে কথা বলে খুব খুশি হন।
প্রথম সাক্ষাতে শচীন মুগ্ধ হয়ে উপহার হিসাবে তাকে সই করা একটি ব্যাট উপহার দিয়েছেন। শুধু তাই নয়, শচীন তার অভিষেক ম্যাচে যশস্বীকে এই ব্যাট হাতে খেলতে অনুরোধ করেছিলেন।