ছোট্ট তারের এই টুকরোকে সেফটি পিন বলা হয় কেন? এর ইতিহাস জানলে চমকে যাবেন

সেফটি পিন নামের সঙ্গে ‘সেফটি’ কথাটি যুক্ত রয়েছে। কিন্তু এটি রক্ষা করার পরিবর্তে বরং অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয়। দাঁত পরিষ্কার থেকে শুরু করে পায়ে কাঁটা ফুটলে বা ইমারজেন্সিতে ছেড়ে জামা কাপড় পড়তে বা কখনো লোকেরা এটিকে বোতাম হিসেবে ব্যবহার করে থাকেন। কারণ এই ছোট্ট তারের বাঁকানো টুকরোটি বিপদে নানানভাবে দারুণ কাজে আসে।

বেশিরভাগ মানুষই কাপড় থেকে শুরু করে কাগজ বাঁধে ব্যবহার করে। কিন্তু সেফটি পিনের ইতিহাস জানলে অনেকেই অবাক হতে পারেন। এটি আবিষ্কার করেছিলেন ওয়াল্টার হান্ট। তিনি ছোট্ট ছোট্ট জিনিস উদ্ভাবনের জন্য বিশেষভাবে পরিচিত। জানাযায় একসময় তিনি অনেক ঋণের জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন যে কারণে নতুন নতুন জিনিস আবিষ্কার করে ঋণ পরিশোধ করতে থাকেন।

Image

সেফটি পিনের উদ্ভাবন তেমনই এক আবিষ্কার। এটি তৈরি হওয়ার পর তিনি বুঝতে পেরেছিলেন যে একটি অপরিহার্য জিনিস হয়ে উঠেছে তখন থেকে এটির পেটেন্ট করে বিক্রি করেন। এরপরেই সেফটিপিন আবিষ্কারের জন্য তিনি ৪০০ ডলার পেয়েছিলেন।

জানা যায় ওয়াল্টার হান্টের স্ত্রীর পোশাকের বোতাম টি ভেঙ্গে গেলে সেই সময় বোতাম হিসেবে কাজ করার জন্য তার দিয়ে এই জিনিসটি বানিয়েছিলেন। সেই সময় তিনি নিজেই তার থেকে এই সেফটি পিন তৈরি করেছিলেন, যাকে ড্রেস পিন বলা হত। আসলে এর নাম ড্রেস পিনই। এরপর যুগের পরিবর্তন হলেও সেফটি পিনের আকৃতি পরিবর্তন আসেনি।

কথিত আছে, হান্টের এই আবিষ্কারের পর তারের পরিবর্তে এই পিন ব্যবহার করা হয়েছিল। এই পিন দিয়ে মানুষের আঙ্গুল রক্ষা করা হতো। এই পিনের কারণে আঙুলে আঘাত লাগার ঘটনা অনেকটাই কমে গিয়েছিল যে কারণে সেফটিপিন বলা হতো। যদিও এটা মহিলারা তাদের কাপড়ে ড্রেস পিন হিসেবে ব্যবহার করেন। আঘাত থেকে হাত ও আঙ্গুল নিরাপদ রাখার জন্য একে সেফটি পিন বলা হয়।