সব খাবারেই পচন ধরে, মধু কেন ১০০ বছর পরেও টাটকা থাকে? ৯৯% মানুষের অজানা

Why does honey rot: শাকসবজি থেকে শুরু করে মাছ মাংস বা যেকোনও প্যাকেটজাত খাবার একটা নির্দিষ্ট সময়ের পর ফেলে দিতে হয়। পৃথিবীতে যত রকমেরই খাবার পাওয়া যাক না কেন, সেগুলো ব্যবহারের একটা নির্দিষ্ট সময়সীমা থাকে। এরপর সেই জিনিসটা পচন ধরে অথবা নষ্ট হয়ে যায়, যেটা খেলে আমরা শারীরিকভাবে অসুস্থ হতে পারি। কিন্তু কখনো ভেবে দেখেছেন মধু কখনো নষ্ট হয় না কেন? 

আপনিও হয়তো লক্ষ্য করেছেন বাড়িতে বছরের পর বছর মধু ভরা থাকলেও তা টাটকা থাকে। কয়েক বছর পরেও সেই মধু নিশ্চিন্তে খেতে পারেন, এর গুণগত মান কখনো খারাপ হয় না। মধু এমন একটা খাবার যা সহজেও নষ্ট হয় না, এমনকি এর গুণগত মানেও প্রভাব পড়ে না। জানেন কেন এমনটা হয়?

Image

মধুতে রয়েছে অতিরিক্ত চিনির উপাদান। এর মধ্যে জল নেই বললেই চলে। এই কারণেই মধু কখনো শুকিয়ে যায় না। এমনকি কোন জীবাণুও মধুতে সংক্রমণ ঘটাতে পারে না। যে কারণে মধু ব্যাকটেরিয়া বা ভাইরাসের কারণেও নষ্ট হয় না।

জানিয়ে রাখি, মধু খেতে মিষ্টি হলেও এটা আসলে একপ্রকার অ্যাসিডিক প্রকৃতির হয়। এর মধ্যে অতিরিক্ত মাত্রায় গ্লুকোনিক অ্যাসিড থাকে, যা ব্যাকটেরিয়াকে বিনষ্ট করে। যখন মৌমাছি ফুলের রসের সঙ্গে মিশিয়ে মকরন্দ তৈরি করে, তখন তার সঙ্গে গ্লুকোনিক অ্যাসিড ক্ষরিত হয়।

Image

এই ফুলের রসের মধ্যে গ্লুকোজ অক্সাইড নামে এক বিশেষ ধরনের এনজাইম ক্ষরণ হয়, যা কেবল মৌমাছির দ্বারাই সম্ভব। মধুর মধ্যে হাইড্রোজেন পার অক্সাইড তৈরি হয়, যা অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল হিসেবে কাজ করে। তবে মধু শিশির গায়ে এক্সপায়ারি ডেট উল্লেখ থাকে। তাহলে এখন প্রশ্ন আসতেই পারে, এই তারিখের উল্লেখ থাকে কেন?

আসলে বাজারজাত প্রতিটি জিনিসই প্যাকেজিং করার সময় এক্সপায়ারি ডেট এর উল্লেখ করা বাধ্যতামূলক। জাতীয় খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থার তরফে এমনটাই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। কিন্তু মধু দীর্ঘদিন রেখে দিলেও নষ্ট হয় না। এর এক্সপায়ারি ডেট পেরিয়ে গেলেও আপনি নির্দ্বিধায় খেতে পারেন। প্রসঙ্গত, মিশরের পিরামিডে আনুমানিক ৩০০০ বছরের পুরনো মধুর ভাঁড় উদ্ধার হয়, যা তখনো টাটকা ছিল।