পাণ্ডবরা অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন যেখানে, আজও সেই শমী বৃক্ষটি পশ্চিমবঙ্গে রয়েছে

বলা হয়, ‘যা নেই মহাভারতে তা নেই ভারতে’। মহাভারত সবকিছুরই সম্পর্কে ধারণা দেয়। সে যুগে এমনও কিছু জিনিসের আবিষ্কার হয়েছিল যা এই বৈজ্ঞানিক যুগে চর্চার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। মহাভারত থেকে জানা যায়, পান্ডবদের আত্মত্যাগের কথা যারা ১৪ বছর অজ্ঞাতবাসে কাটিয়েছিলেন। 

পাণ্ডবরা সেই সময়ই কৌরবদের হাত থেকে বাঁচার জন্য ছদ্মবেশ ধারণ করে বিভিন্ন সময়ে বিভিন্ন জায়গায় কাটান। তবে কখনো ভেবেছেন তাদের যুদ্ধাস্ত্রগুলি কোথায় লুকিয়ে রেখেছিলেন? কথিত আছে একটি শমী বৃক্ষের কোটরে পাণ্ডবরা নিজেদের অস্ত্র লুকিয়ে রেখেছিলেন। হয়তো আজ পাণ্ডবেরা পৃথিবীতে নেই তবে সেই গাছ আজও রয়ে গেছে।

Image

কথিত রয়েছে, মহাভারতের বিরাটপর্বে পাণ্ডবরা অজ্ঞাতবাসের সময় ছদ্মবেশ নিতে গিয়ে নিজেদের অস্ত্রগুলো এই বৃক্ষের কোটরেই লুকিয়ে রেখেছিলেন। এই শমী বৃক্ষ সেই মহাভারতের যুগ থেকে এখনও বর্তমান। এই বৃক্ষস্থল বর্তমানে পর্যটন কেন্দ্র হিসাবে গড়ে উঠেছে। অতীতে আরও ঘন জঙ্গল ছিল কিন্তু সময়ের সাথে সাথে জায়গাটি প্রায় ফাঁকা হয়ে গেছে। 

আর এই গাছটি পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ দিনাজপুর গেলেই পেয়ে যাবেন। হরিরামপুরের হাতিডুবা গ্রামের রয়েছে এই বৃক্ষটি আর এই বৃক্ষটিকে কেন্দ্র করে গড়ে উঠেছে পর্যটন কেন্দ্র। বর্তমানে এই গাছ সেই ভাবে দেখা না গেলেও এটি একাধিক শুভ কাজে ব্যবহার করা হয়ে থাকে। 

জানা যায়, কবি কালিদাস শমী বৃক্ষের নিচে বসে জ্ঞান অর্জন করেছিলেন। এই গাছ বাড়িতে লাগালে সমস্ত বাধা বিঘ্ন দূর হয়ে যায়। আয়ুর্বেদ শাস্ত্রে বলা হয়েছে, শমী বৃক্ষ খুবই উপকারী। এই গাছ থেকে বিভিন্ন রোগের ওষুধ তৈরি হয়। এছাড়াও জানা যায়, শমী বৃক্ষ ভগবান গণেশের খুবই প্রিয় গাছ ছিল। 

পৌষ মাসের বকুল অমাবস্যা তিথিতে ৫১ জন কুমারী মেয়ে লালপেড়ে শাড়ি পরে ৫১টি শঙ্খ ও ৫১টি ঢাক নিয়ে শোভাযাত্রা করে আত্রেয়ী থেকে অভিষেকের জল আনে। তিন দিন ব্যাপী মহাযজ্ঞ অনুষ্ঠিত হয় এখানে।