5G network: ২০১৭ থেকেই একটু একটু করে 5G পরিষেবা চালুর প্রস্তুতির দিকে এগোচ্ছিল ভারত। গত কয়েক বছরের কঠোর প্রচেষ্টায় তা সফল হয়েছে। বর্তমানে বিভিন্ন টেলিকম কোম্পানি গুলি অল্প অল্প করে তাদের ৫জি পরিষেবা দিতে শুরু করেছে বড়ো বড়ো শহর গুলিতে। আস্তে আস্তে তা গোটা ভারতে ছড়িয়ে পড়বে। কিন্ত এই মুহূর্তে প্রায় প্রত্যেক মানুষের একটাই কথা মনে আস্তে পারে, যে 5G আসলে 4G ফোনগুলির কী হবে?
যে সকল শহরে 5G পরিষেবা চালুর পরই 5G ব্যবহারকারীদের অনেকাংশই বলছেন যে দ্রুত গতির ইন্টারনেটের কারণে ফোনের ডেটা খুব দ্রুত শেষ হয়ে যাচ্ছে। ধরুন কেউ যদি 4G স্পিড ব্যবহার করে, তা হলে তার 1.5 জিবি ডেটা সারা দিন চলে। কিন্তু একই 5G স্পিডে একই ডেটা মাত্র দেড়-দুই ঘন্টার মধ্যে শেষ হয়ে যায়।
5G ব্যবহারকারীদের অনেকেই 5G স্পিড আসার পরেও 4G নেটওয়ার্কে ফোন সেট করে রাখছেন। যাতে প্রচুর পরিমাণে ডেটা খরচ থেকে বাঁচা যায়। কিন্ত এখন কথা হচ্ছে 5G নেটওয়ার্ক পুরোপুরি চলতে শুরু করলে 4G ফোনগুলো কি বাতিল হয়ে যাবে? এর উত্তর জানতে হলে আমাদের ফিরে যেতে হবে সেই 4G পরিষেবা শুরুর দিনে অর্থাৎ ২০১২ সালে।
যখন 4G এসেছিল, তখন 3G বা 2G এর কী হয়েছিল মনে আছে! 5G আসার পরও 2G বা 3G কিন্তু এখনও চলছে। আমরা শুধুমাত্র স্মার্টফোনেই 4G এর দ্রুত ব্যবহার দেখেছিলাম। যদিও 3G কিছু কিছু হাতে গোনা স্মার্টফোনেও চলেছে। এমনি ভাবেই, যেহেতু বর্তমানে 5G নেটওয়ার্ক এসেছে, তাই পুরনো 4G নেটওয়ার্ক বন্ধ হবে না এবং ব্যবহারকারীরা তাদের ফোনে স্বাচ্ছন্দ্যে 4G সিম চালাতে পারবেন।
4G ডেটা আপনার খরচও বাঁচাবে। কিন্ত ফাইভ-জি চালাতে গেলে আপনাকে মোটা টাকার রিচার্জ করতে হতে পারে, যেহেতু এটি 4G এর তুলনায় হাইস্পিড ইন্টারনেট। তবে এটাও জানিয়ে রাখি, 5G চলে এমন ফোনে 4G স্বচ্ছন্দ্যে চলবে। কিন্ত 4G ফোনে 5G চলবে না।