জানেন ফাঁসির সময় জল্লাদ অপরাধীর কানে কানে কী বলেন

Hangman on the gallows: একজন অপরাধীর সর্বোচ্চ সাজা হলো তার মৃত্যুদণ্ড। ভারতবর্ষে এখনও ফাঁসির সাজা দেওয়া হয়। এইসময় একটি প্রশ্ন আমাদের মনে ঘুরপাক খায়, ফাঁসির মঞ্চে জল্লাদ শেষ মুহূর্তে অপরাধীর কানে কানে কি বলে? এবার অপরাধী যদি মুসলিম বা হিন্দু হয়, তাদের ধর্ম অনুসারে আলাদা আলাদা কথা বলা হয়। তবে সেটা কি জানেন?

অপরাধীকে ফাঁসি দেওয়ার আগে তার ওজনের প্রতিমূর্তি ঝুলিয়ে পরীক্ষা করা হয় এবং সেই অনুযায়ী ফাঁসির দড়ির আদেশ দেওয়া হয়। যেদিন অপরাধীর ফাঁসি হবে তাকে স্নান করিয়ে নতুন কাপড় পড়ানো হয়। এরপর সকালে জেল সুপারের তত্ত্বাবধানে কারারক্ষীরা অপরাধীকে ফাঁসি কক্ষে নিয়ে আসে। এই সময় জেল সুপার, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও জল্লাদ উপস্থিত থাকে।

Image

ফাঁসি হবার ৫ থেকে ২৫ মিনিটের মধ্যে বন্দীর মৃত্যু হয়। তারপর পরীক্ষা করে মৃত বলে ঘোষণা করার পর সেই দেহ পরিবারের সদস্যদের হাতে তুলে দেওয়া হয়। যেকোনো অপরাধীকে ফাঁসি দেওয়ার আগে তার ইচ্ছার কথা জিজ্ঞেস করা হলে, তার সেই ইচ্ছা পূরণ করা হয়। এতে বন্দী তার আত্মীয়দের সাথে দেখা করা, প্রিয় খাবার খাওয়া, বা কোন ধর্মীয় পাঠ্য পড়ার ইচ্ছা প্রকাশ করতে পারে।

ফাঁসির কার্যকরের সময় জল্লাদ অপরাধীর কানে কানে কিছু কথা বলে। কিন্তু বড় প্রশ্ন হল জল্লাদ বন্দির কানে কি বলে? যার পরে তাকে ফাঁসি দেওয়া হয়। অপরাধীকে ফাঁসি দেওয়ার আগে জল্লাদ তার কানে গিয়ে বলে, ‘আমাকে ক্ষমা করে দিন।’ সে হিন্দু হলে রাম রাম বা মুসলিম হলে সালাম। ‘আমরা কি করতে পারি, আমরা হুকুমের দাস।’ এই বলে জল্লাদ অপরাধীর ফাঁস টেনে দেয়।