সভ্যতার পরিবর্তন হলেও পুরুষশাসিত সমাজ মহিলাদের প্রতি কুনজরে তাকিয়ে আসছে সেই আদিকাল থেকে, আর যে কারণে প্রতিবারই ধ্বংস হয়েছে তারা। মহাভারতেও দেখা গিয়েছে দ্রৌপদীর প্রতি কৌরবদের কু-দৃষ্টি পড়ায় তার ফলস্বরূপ হিসেবে মহাযুদ্ধের (কুরুক্ষেত্র) সৃষ্টি হয়। এমনকি হিন্দু শাস্ত্রেও বলা হয়েছে মহিলাদের মর্যাদা কতখানি। তবে কোন মহিলাকে কি নজরে দেখবেন? না মানলে বড় বিপদ, আসুন জেনে নেওয়া যাক –
ভারতীয় ঐতিহ্য অনুযায়ী মহিলাদের স্থান রয়েছে যথেষ্ট উপরে। এছাড়াও রয়েছে তাদের সম্মান। তবে মহিলাদের প্রতি কি রকম ব্যবহার করা উচিত বা কি রকম ব্যবহার করা হয় সবই ভারতীয় ধর্মগ্রন্থে উল্লেখ করা আছে। পুরান বা অন্যান্য ধর্মগ্রন্থে মহিলাদের সম্মান এক আলাদা স্থানে রয়েছে।
কবি তুলসী দাস তার রচিত ‘রামচরিতমানস’-এ চার প্রকার সম্পর্কযুক্ত নারীদের কথা উল্লেখ করেছেন যাদের কখনোই অসম্মান করা উচিত নয়। তাদের উপর লালসার নজরে তাকানো মহাপাপ। আর এমনটা করলে এর ফল তাকে সারাজীবন ভুগতে হবে। যদি কখনো কোনো ব্যক্তি তার জীবনে কোনো বিপদ বা খারাপ সময়ের সম্মুখিন হয়ে থাকে তখন তাকে অবশ্যই মনে করতে হবে যে সে কখনো কোনো মহিলাদের দিকে কু-দৃষ্টি দিয়েছে কিনা।
সব পিতার কর্তব্য তার মেয়ের সম্মান করা ও যেকোনো প্রতিকূল পরিস্থিতিতে মেয়েকে রক্ষা করা। নিজের মেয়ের সাথে খারাপ আচরণ করা মানে মহাপাপ করা। এমনটা করলে এর থেকে বড় পাপ আর কিছুই হতে পারে না।
বাড়ির পুত্রবধূকেও সব সময় নিজের মেয়ে বলে মনে করতে হবে। কারণ সে তার নিজের পরিবার ছেড়ে আসে তাই তাকেও আপন করে নিতে হবে। আর পুরো পরিবারের কর্তব্য হলো যেকোনো পরিস্থিতিতেই তার সম্মান রক্ষা করা। তাকে অপমানিত হতে দেখলে তার বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করা।
ছোট ভাইয়ের স্ত্রীও বাড়ির বউ। তার দিকে কখনই খারাপ দৃষ্টিতে তাকানো উচিত নয়। আর এমন কাজ করলে তার ফল কখনোই ভালো হয় না।
ছোট কিংবা বড় বোন মায়ের সমান। তাই তাদের সবসময় সম্মান করা উচিত। কিন্তু নিজের স্বার্থের জন্য যদি বোনকে অপমান বা লাঞ্ছিত হতে হয় তবে পরবর্তীকালে সেই ভাইকে অনেক দুঃখ কষ্টের মধ্যে দিয়ে যেতে হয়।