কোন লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন আপনি মানসিক অবসাদে ভুগছেন? জানুন মুক্তির উপায়

“অবসাদ” এই একটি কথার মধ্যে লুকিয়ে থাকে অনেক অনুভূতি। যা আপনাকে কোনো ভুল পথে চালিত করতে পারে। এটি মোটেও কাম্য নয়। তাই আপনি কোন কারণে অবসাদে ভুগে থাকলে জলদি তা থেকে বেরিয়ে আসার উপায় খোঁজা উচিত। তাই আপনি কি অবসাদে ভুগছেন? দুশ্চিন্তা কি আপনাকে তাড়া করে বেড়াচ্ছে? তাহলে আপনি কি করে এর থেকে বেরিয়ে আসবেন? জেনে নেওয়া যাক এ ব্যাপারে বিশেষজ্ঞরা কি বলছেন ।

What To Do If Your Therapy App Didn't Help Your Depression

মন খারাপ, মন ভাঙ্গা, একাকীত্ব এরকম পরিস্থিতি সকলের জীবনে কমবেশি এসে থাকে। কেউ এই সব পরিস্থিতিতে গুলিকে সামলাতে পারে না আবার কেউ তার সামলাতে না পেরে মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকেন। আর সেখান থেকে কোন ভুল পথে চালিত হবার প্রবণতা লক্ষ্য করা যায়। এই কারণে অন্যান্য রোগের মতো এর চিকিৎসা করা প্রয়োজন। আপনি মানসিক অবসাদে ভুগলে অবশ্যই আপনাকে ডাক্তারের পরামর্শ নেওয়া উচিত। তবে সর্বপ্রথম প্রাথমিক লক্ষণ গুলি আপনাকে বুঝতে হবে।

Major depression on the rise among everyone, new data shows

১) কোন বিষয়ে আশা হারিয়ে ফেলা বা নিজেকে খুব অসহায় বোধ করা এগুলো অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার ফলে হয়ে থাকে।

২) কেউ অবসাদগ্রস্ত হলে সে কোনো পথ খুঁজে না পেয়ে কাঁদতে থাকে।

৩) কোন কারন ছাড়াই তার মধ্যে বিরক্তিভাব দেখা যায় বা মেজাজ হারিয়ে ফেলে ‌।

৪) কোন কাজে মন বসে না কাজের প্রতি আগ্রহ হারিয়ে ফেলা।

৫) কোন বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে সমস্যা দেখা যায়।

৬) দুশ্চিন্তার জন্য রাতে ঘুম না আসা।

৭) অতিরিক্ত দুশ্চিন্তার কারনে মাথা, ঘাড়, পেশি ও শরীরের নানা অংশে যন্ত্রনা হতে পারে।

৮) খিদে না পাওয়া বা অতিরিক্ত খাওয়ার জন্য শরীর অসুস্থ বোধ করা। আমরা অনেক সময় খাবার হজম হতে সমস্যা দেখা যায়

৯) দিনের পর দিন মন খারাপ থাকা। নানারকম দুশ্চিন্তা মাথায় ঘুরপাক খাওয়া।

১০) সর্বোচ্চ আত্মঘাতী হয়ে নিজেকে শেষ করে দেয়ার কথা ভাবতে শুরু করা।

How You Can Help People With Depression | Talkspace

কোন ব্যক্তি মানসিক অবসাদে ভুগতে থাকলে উপরের এই লক্ষণগুলো তার মধ্যে দেখা যেতে পারে। এই লক্ষণগুলো দেখা দিলে দ্রুত চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়া প্রয়োজন। মনের এই অসুখকে কোনভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। এর থেকে মুক্তি পাওয়ার শ্রেষ্ঠ উপায় হচ্ছে কথা বলা। অন্যের কাছে বা নিজের কাছের মানুষের কাছে নিজেকে ব্যক্ত করা অন্যথা চিকিৎসকের সাথে আলোচনা করলে। অবশ্যই এর থেকে মুক্তি পাওয়া যায়। আর এর থেকে বেরিয়ে আসতে পারলেই আপনি সুন্দর পৃথিবীতে বেঁচে থাকার আরো কারণ পেয়ে যাবেন।