পশ্চিমবঙ্গের বুক চিরে বয়ে যাবে প্রবল ঘূর্ণিঝড় “বুলবুল”, সর্তকতা জারি আবহাওয়া দপ্তরের

আবারও একটি রুদ্র রূপ ধারণ করেছে বঙ্গোপসাগরে ঘূর্ণিঝড় “বুলবুল”। সম্প্রতি কিছুদিন আগেই মানুষ দেখেছে ফণীঝড়ের ভয়ঙ্কর তাণ্ডব। তাই আগে থেকেই মানুষ কে এই ব্যাপারে সতর্ক করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে আর মাত্র ১২ ঘণ্টার মধ্যেই এই ঘূর্ণিঝড় আরো শক্তিশালী হয়ে ওঠে ধ্বংসলীলা চালাতে শুরু করে দেবে। এই আশঙ্কায় সকলেই ছিল, কিন্তু সেটা এবার বাস্তবে দেখতে চলেছে এই রাজ্য।

Image result for bulbul cyclone

আর কয়েক ঘণ্টার মধ্যে এই ঘূর্ণিঝড় আরো প্রবল শক্তিশালী হয়ে এক ভয়ঙ্কর রূপ ধারণ করবে এবং ধেয়ে আসবে এই রাজ্যের উপর দিয়ে। আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে এই ঝড় আমাদের রাজ্য এবং বাংলাদেশের উপকূলের দিকে ধীরে ধীরে অগ্রসর হচ্ছে। যা অনেকটাই ক্ষতিগ্রস্ত করে তুলবে বলে আবহাওয়াবিদরা আশঙ্কা করছে।

আলিপুর আবহাওয়া দপ্তর থেকে জানানো হয়েছে যে, ৯ নভেম্বর থেকে ১১ নম্বরের মধ্যে দক্ষিণ বঙ্গের দুই জেলা দক্ষিণ ২৪ পরগনা এবং মেদিনীপুরের ওপর একপ্রকার ভারী ঝড়-ঝঞ্ঝার পূর্বভাস আগে থেকেই জারি করে দিয়েছে। সেইসাথে বিক্ষিপ্তভাবে বইতে পারে ৫০-৬০ কিমি বেগে প্রবল ঝড়ো হাওয়া। তবে এই ঝড়ো হাওয়ার সর্বোচ্চ বেগ হতে পারে ঘন্টায় ৭৫ কিমি।

খবর সূত্রে জানা গিয়েছে, যে অঞ্চলে এই ঘূর্ণিঝড়ের সৃষ্টি হয়েছে গতকাল ঝড়ো হাওয়ার গতিবেগ ছিল প্রতি ঘন্টায় ৭৫ থেকে ৮৫ কিমি। তবে আজ আরো গতিবেগ বাড়তে পারে বলে জানিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা। এই ঝড়ের সর্বোচ্চ গতি হতে পারে ঘণ্টায় ১৩০ থেকে ১৪০ কিমি। এর ফলে ক্ষতির পরিমাণ অনেকটাই বেশি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

Image result for bulbul cyclone

আজ সন্ধ্যার দিকে ওড়িশা এবং পশ্চিমবঙ্গের উপকূলের এই ঝড়ো হাওয়া বয়ে যেতে দেখা যাবে ৪০-৬০ কিমি ঘন্টায় গতিবেগে। তবে সর্বোচ্চ গতিবেগ ঘন্টায় ৭০ কিলোমিটার হতে পারে বলে জানিয়েছে আবহাওয়া দপ্তর। যার ফলে সমুদ্রের ঢেউ আরো উত্তাল হয়ে উঠবে তাই মৎস্যজীবী এবং সমুদ্রে ভ্রমণ পিপাসুদের জন্য সম্পূর্ণভাবে নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়েছে। আজ সন্ধ্যার আগেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্র থেকে ফিরে যাওয়ার আর্জি জানানো হয়েছে।