বর্তমান সময়ে ক্রিকেটের সেরা ব্যাটসম্যান বিরাট কোহলি। ব্যাট হাতে শাসন করেন প্রতিপক্ষ বোলারদের। উঠতি ক্রিকেটাররা বিরাট কোহলিকে তাদের আইডল বলে মনে করেন। কিন্তু এই বিরাট কোহলি শুরুতেই তিনি তার খেলার টেকনিক নিয়ে বিপাকে পড়েছিলেন।
এরপর তিনি কিছু মানুষের সান্নিধ্যে এসে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার বদলে যায়। আর আজ তিনি হয়ে উঠেছেন বিশ্বের এক নম্বর ব্যাটসম্যান। ১৯ বছর বয়সে ভারতীয় দলে অভিষেকের পর সময়টা একেবারেই ভাল যাচ্ছিল না বিরাট কোহলির। ব্যাট করতে নেমে তিনি ফ্রন্ট ফুটের সমস্যায় পড়েন।
তৎকালীন জাতীয় দলে কোচ হিসেবে পেয়েছেলিন ২০১১ সালের বিশ্বকাপজয়ী কোচ গ্যারি কারস্টেনকে। এরপর বিরাট কোহলি তার নিজের সমস্যার কথা গ্যারি কারস্টেনকে খুলে বলেন। সেই সময় তিনি যা ইতিবাচক পরামর্শ পেয়েছিলেন তাতেই সফল হয়ে উঠেছেন বিরাট কোহলি।
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি জানিয়েছেন যে, তার ক্রিকেট ক্যারিয়ারে এগিয়ে যাওয়ার জন্য কয়েকজন মানুষের সান্নিধ্যে এসে যা সাহায্য পেয়েছি তা কখনোই ভোলার নয়। তাদের মধ্যে অন্যতম হলেন স্যার গ্যারি কারস্টেন। জাতীয় দলে তিনি ছিলেন আমার প্রথম কোচ।
বিরাট কোহলি আরও জানান, জাতীয় দলে ডাক পেলেও ব্যাটিং নিয়ে সন্তুষ্ট হতে পারছিলাম না। ব্যাট করার সময় সামনের পা অনেকটা বেড়ে যেত। সমস্যাটা পুরোপুরি শোনার পর, কারস্টেনের ইতিবাচক পরামর্শ পেয়ে আমার চিন্তা-ভাবনা পুরোপুরি বদলে দিয়েছিল।
ফ্রন্ট ফুটের মতই বিরাট কোহলি শর্ট বল নিয়ে বড় সমস্যায় পড়েছিলেন। ২০০৮ সালে যেবার প্রথম আইপিএল খেলা শুরু হয় তখন বিরাট কোহলি এই সমস্যায় ভুগছিলেন। রয়েল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর দলে সতীর্থ হিসেবে পেয়েছিলেন দক্ষিণ আফ্রিকার মার্ক বাউচারকে। তিনি বিরাট কোহলির শর্ট বলের দূর্বলতা কাটাতে সাহায্য করেছিলেন নেট সেশনে ব্যাটিং প্র্যাকটিস করিয়ে।