কিডনিতে পাথর জমেছে কিনা, বুঝে নিন এই পাঁচটি লক্ষণ দেখে

কিডনিতে পাথর দেখা দেওয়া এখন একটি সাধারণ সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে। কেমিক্যাল যুক্ত খাবার, দূষণ, আরো কিছু বদভ্যাসের কারণে এই রোগীর সংখ্যা দিন দিন বেড়েই চলেছে। তবে এমন কিছু লক্ষণ দেখা দেয় যা আমরা এগিয়ে চলি কিন্তু যখন শেষমেষ রোগটি ধরা পড়ে তখন আর কিছু করার থাকে না। নিম্নে আলোচিত করার দু-তিনটি লক্ষণ যদি একসাথে দেখা যায় তাহলে ডাক্তারের সাথে শীঘ্রই পরামর্শ করুন। 

Does a Heating Pad Help With Kidney Stone Pain? - The Soothing Effect

বিশেষজ্ঞদের মতে, কিছু বিশেষ নিয়ম মেনে চললে রেনাল স্টোনের সমস্যা এড়ানো সম্ভব। তবে প্রথম ধাপেই এর চিকিৎসা করিয়ে নেওয়া সব থেকে ভালো। প্রথমে ছোট ছোট স্টোনগুলি নজরে আসে না, কিন্তু পরবর্তীকালে তা বড় আকার ধারণ করে।

আসুন দেখে নেওয়া যাক কিডনিতে পাথর হওয়ার কয়েকটি লক্ষণ –

১) কিডনিতে পাথর হওয়ার সর্বপ্রথম লক্ষণ হলো কোমরে ব্যথা অনুভব হওয়া। কোমর থেকে তলপেটেও ব্যথা ছড়িয়ে পড়তে পারে।

২) যদি পাথরের আকার বড় হয় তাহলে প্রসাবের সময় জ্বালা-যন্ত্রণা হবে।

৩) প্রস্রাবের রং অস্বাভাবিক হলে বুঝতে হবে যে এটি কিডনিতে পাথর হওয়ার একটি লক্ষণ। কিডনিতে পাথর হলে প্রস্রাবের রং লাল বা গোলাপি রঙের হতে দেখা যায়। আবার কখনও কখনও রক্ত বেরোতে পারে।

Kidney Stones on the Rise: Preventing and Treating a Growing Health Issue – Penn Medicine

৪) পাথরের আকার খুব বড় হয়ে গেলে আমাদের প্রস্রাবের পরিমাণ অনেক কমে যায়।

৫) কিডনিতে পাথর হলে তলপেট এবং পাঁজরে প্রচন্ড যন্ত্রণা হয়। এছাড়া এর সাথে সাথে মাথা ঘোরা ও বমিও হতে দেখা যায়।

কিভাবে রেহায় পাবেন:- 

১) নিয়মিত ৮-১০ গ্লাস জল পান করা। এর ফলে শরীর থেকে সমস্ত রকম বিষাক্ত পদার্থ গুলি বেরিয়ে যায় এবং কিডনি সুস্থ থাকে।
২) আমিষ জাতীয় খাদ্যের পরিমাণ কমিয়ে আনা।
৩) প্রস্রাব কখনোই ধরে রাখা উচিত নয়।
৪) ইউরিন ইনফেকশন দেখা দিলে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া।

6 Causes of Right Kidney Pain: Symptoms, Diagnosis & Treatment

৫) ক্যাফেইন ও সোডা জাতীয় খাবার এড়িয়ে চলা।
৬) অ্যালকোহল কিডনিতে পাথরের ঝুঁকি বাড়িয়ে দিতে পারে, তাই মদ্যপান না করা।
৭) ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খাওয়া উচিত।
৮) দুধ বা দুগ্ধজাতীয় খাবার এড়িয়ে চলাই ভালো।

∆ তাই মাঝে মাঝে এমন ব্যথা হলেও সতর্ক হন এবং সাথে সাথেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।