রিলায়েন্স ইন্ডাস্ট্রিজের চেয়ারম্যান মুকেশ আম্বানি (Mukesh Ambani) তার সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তের জন্য ব্যবসায়িক জগতে পরিচিত। পেট্রোকেমিক্যাল থেকে শুরু করে টেলিকম এবং খুচরা ব্যবসায় ছড়িয়ে থাকা মুকেশ আম্বানির সাফল্যের অন্যতম রহস্য হল তার দলও খুবই শক্তিশালী।
মনোজ মোদী থেকে হিতাল এবং নিখিল মেসওয়ানি, এমন অনেক মুখ্য কর্মচারী রয়েছেন যারা লাইমলাইটের বাইরে থাকতে পারে, কিন্তু নীরবে রিলায়েন্সের জন্য দুর্দান্ত কাজ করে। বিশেষ করে নিখিল এবং হিতাল মেসওয়ানিকে মুকেশ আম্বানির ডান হাত বলে মনে করা হয়।
কিন্তু জানেন কি রিলায়েন্স কোম্পানিতে কে সবচেয়ে বেশি বেতন পান? আসলে এই দুই কর্মচারীই এই কোম্পানির চেয়ারম্যানের চেয়ে বেশি টাকা আয় করেন। শুধু তাই নয়, এই দুই কর্মচারীও মুকেশ আম্বানির আত্মীয়।
নিখিল মেসওয়ানি (Nikhil Meswani) এবং হিতাল মেসওয়ানি (Hital Meswani) দুজনেই রসিকলাল মেসওয়ানির ছেলে। যিনি ধিরুভাই আম্বানির বড় বোনের ছেলে। নিখিল মেসওয়ানি ১৯৮৬ সালে রিলায়েন্স গ্রুপে যোগ দেন। তিনি কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিং এ ডিগ্রী অর্জন করেন এবং ১৯৮৮ সালে নিখিল একজন পূর্ণ-সময়ের পরিচালক হন।
রিলায়েন্সের শোধনাগারের ব্যবসা পরিচালনা করার পাশাপাশি নিখিল আরো অনেক গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে রয়েছেন। তিনি কর্পোরেট অ্যাফেয়ার্স এবং গ্রুপ ট্যাক্সও দেখাশোনা করেন। এর পাশাপাশি, নিখিল আইপিএল ক্রিকেট দল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের পরিচালনায় নীতা আম্বানির (Nita Ambani) সাথে যুক্ত রয়েছেন।
এদিকে হিতাল মেসওয়ানি পেনসিলভানিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতক ডিগ্রী অর্জন করেন। তিনি স্কুল অফ ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড অ্যাপ্লায়েড সায়েন্সেস থেকে কেমিক্যাল ইঞ্জিনিয়ারিংয়ে ডিগ্রি অর্জন করেছেন। হিতাল মেসওয়ানি ১৯৯০ সাল থেকে রিলায়েন্সে কাজ করছেন।
রিপোর্ট অনুযায়ী, ২০২৩ সালে নিখিল মেসওয়ানি এবং হিতাল মেসওয়ানি দুজনকে ২৫ কোটি টাকা বার্ষিক বেতন দেওয়া হয়েছে। অন্যদিকে, নীতা আম্বানি, যিনি রিলায়েন্সের নন-এক্সিকিউটিভ ডিরেক্টর, ২ কোটি টাকা কমিশন পেয়েছিলেন। মুকেশ আম্বানি তার প্রতিটি কর্মচারীকে মোটা অঙ্কের বেতনের পাশাপাশি সমস্ত সুবিধা দিয়েছেন।