টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে যে যত কম বলে পারেন দ্রুত রান সংগ্রহ করে দলকে বড় স্কোর করতে সাহায্য করেন। এখনও পর্যন্ত আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ যে দলীয় স্কোরগুলি হয়েছে, তা সত্যিই অকল্পনীয়। অতীতে ওয়ানডে ক্রিকেটেও এমন স্কোর সচরাচর দেখা যেত না। এই প্রতিবেদনে তেমনই রেকর্ড করা পাঁচটি স্কোর সম্পর্কে বিস্তারিত বলা হয়েছে:
৫) অস্ট্রেলিয়া: ২৪৮ রান
পঞ্চম স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া ২০১৩ সালে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৪৮ রান তোলে। জবাবে ইংল্যান্ড মাত্র ২০৯ রান করতে সক্ষম হয়। অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান অ্যারন ফিঞ্চ ৬৩ বলে ১১টি চার ও ১৪টি ছক্কার সাহায্যে ১৫৬ রান করেছিলেন।
৪) শ্রীলঙ্কা: ২৬০ রান
চতুর্থ স্থানে থাকা শ্রীলঙ্কা ২০০৭ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ৬ উইকেট হারিয়ে ২৬০ রান তোলে। জবাবে কেনিয়া ১৯.২ ওভারে ৮৮ রানে অল আউট হয়ে যায়। সনাথ জয়সুরিয়া ৪৪ বলে ৮৮ এবং মাহেলা জয়বর্ধনে ২৭ বলে ৬৫ রান করেন।
৩) ভারত: ২৬০ রান
২০১৭ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টি-টোয়েন্টি ম্যাচে ভারতীয় দল ৫ উইকেটে ২৬০ রান করে তৃতীয় স্থানে রয়েছে। জবাবে শ্রীলঙ্কা ১৭.২ ওভারে ১৭২ রানে অল আউট হয়ে যায়। এই ম্যাচে ‘হিটম্যান’ রোহিত শর্মা মাত্র ৪৩ বলে ১২টি চার ও ১০টি ছক্কার সাহায্যে ১১৮ রান করেন। এটিই তার টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।
২) অস্ট্রেলিয়া: ২৬৩ রান
এই তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে থাকা অস্ট্রেলিয়া দল ২০১৬ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে মাত্র ৩ উইকেটে ২৬৩ রান করে। জবাবে শ্রীলঙ্কানরা ৯ উইকেটে মাত্র ১৭৮ রান করতে সক্ষম হয়। এই ম্যাচে অস্ট্রেলীয় অলরাউন্ডার গ্লেন ম্যাক্সওয়েল মাত্র ৬৫ বলে ১৪টি চার ও ৯টি ছক্কার সাহায্যে ১৪৫ রান করেন।
১) আফগানিস্তান: ২৭৮ রান
টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটের ইতিহাসে এখনো পর্যন্ত সর্বোচ্চ দলীয় রানের রেকর্ডটি রয়েছে আফগানিস্তানের নামে। ২০১৯ সালে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ৩ উইকেট হারিয়ে ২৭৮ রান করে। জবাবে আয়ারল্যান্ড ১৯৪ রান করে এবং আফগানিস্তান ৮৪ রানের বিশাল ব্যবধানে ম্যাচটি জয়লাভ করে। এই ম্যাচে আফগানিস্তানের ব্যাটসম্যান হজরতুল্লাহ জাজাই মাত্র ৬২ বলে ১১টি চার ও ১৬টি ছক্কার সাহায্যে ১৬২ রান করেছিলেন।