দৈনন্দিন জীবনে সকালে ঘুম থেকে ওঠার পরেই যে জিনিসটি সর্বপ্রথম আমাদের দরকার লাগে সেটি হল টুথপেস্ট, এমনকি রাত্রে খাবার পরেও প্রয়োজন হয়। টুথপেস্ট কেবল মুখের দুর্গন্ধ এবং দাঁত ঝকঝকে করে না এটি দিয়ে বেশ কয়েকটি গৃহস্থালির ও অন্যান্য কাজ করা যায়। তাহলে চলুন জেনে নেওয়া যাক –
১) পোশাকে দাগ লাগা:- আপনার প্রিয় পোশাকে যদি কোন দাগ লেগে যায় তাহলে মন খারাপ হওয়া স্বাভাবিক ব্যাপার। এই ক্ষেত্রে উপকারে আসে টুথপেস্ট। কিছুটা জল আর পেস্ট নিয়ে ওই স্থানে ভালো করে ব্রাশ দিয়ে ঘষে দিলে দাগ সহজেই উঠে যায়।
২) ব্রণের সমস্যা:- ব্রণ মুখের সৌন্দর্য নষ্ট করে, তাই অনেকেই ভুলভাল টোটকা ব্যবহার করে আরও সমস্যায় পড়েন। টুথপেস্ট লাগিয়ে দেখতে পারেন ওই স্থানে। এর ফলে আপনার ব্রণের ফোলা ভাব এবং ব্যথার পরিমাণ অনেক কমে যাবে। তবে রাতে শোয়ার আগে লাগাবেন।
৩) আয়রনের দাগ:- অনেক সময় দেখা গেছে আমাদের ব্যবহার্য ইস্ত্রিতে মরচে দাগ পড়ে যায় যার ফলে তা দিয়ে জামা কাপড় ইস্ত্রি করলেই মরচে দাগ লাগার একটা ভয় থাকে। এক্ষেত্রে ওই অংশে সামনের টুথপেস্ট লাগিয়ে ব্রাশ দিয়ে ঘষলে সহজেই দাগ উঠে যায়।
৪) গহনা উজ্জ্বল করে:- গহনাগুলির উজ্জলতা যদি ধীরে ধীরে কমে যেতে থাকে। তাহলে একটি পাত্রে রেখে সামান্য জল ও টুথপেস্ট দিয়ে মিক্স করুন। ঘন্টাখানেক পরে দেখবেন সেই গহনারগুলির উজ্জ্বলতা ফিরে এসেছে।
৫) নখের উজ্জলতা:- শরীরের সাথে সাথে নখেরও খেয়াল রাখা উচিত, এতে সৌন্দর্যের কোনরকম ঘাটতি পড়ে না। তাই ব্রাশ করার সময় নখের উপরে হালকা বুলিয়ে নিন এতে আপনার নখ ধবধবে ফর্সা হবে।
৬) জুতো পরিস্কার:- প্রিয় জুতোটি পড়তে গিয়ে দেখলেন দাগ পড়ে গেছে এতে সত্যিই মন খারাপ হয়ে যায়। সেই সময় একটু টুথপেস্ট ব্রাশ দিয়ে লাগিয়ে ওই স্থানে ঘষতে থাকলে তা ধীরে ধীরে দাগ চলে যায়।
৭) হাত ও পায়ের দুর্গন্ধ:- আমরা কখনো কখনো গৃহস্থলীর এমন কিছু কাজ করে থাকি যার ফলে হাতে কিংবা পায়ের দুর্গন্ধ হয়। এই ক্ষেত্রে টুথপেস্ট খুবই উপকারে আসে। সামান্য টুথপেস্ট দিয়ে হাত কিংবা পা ধুয়ে নিলে সেইসকল দুর্গন্ধগুলি চলে যায়।
৮) কীটপতঙ্গের কামড়:- পোকামাকড় কিংবা কীটপতঙ্গের কামড়ে দিলে অসহ্য যন্ত্রণা, চুলকানি করে এবং সেই জায়গাটি লাল হয়ে ফুলে যায়। হাতের কাছে তেমন কোন মলম বা ওষুধ না থাকলে ওই আক্রান্ত স্থানে টুথপেস্ট লাগিয়ে নিন এতে ব্যথা সাথে সাথে চুলকানি কিংবা লালচে ভাব কেটে যাবে।