আইপিএলের প্রতিটি মরসুমে ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’ জিতেছেন যারা, তালিকায় একজন ৩ বার

২০২১ আইপিএল একটা অসাধারণ টুর্নামেন্টে ছিল। শেষমেষ ফাইনালে চেন্নাইয়ের মুখোমুখি হয় কলকাতা। তবে চেন্নাইয়ের দুর্দান্ত ব্যাটিং এর সামনে মাথা নত করে নাইট বাহিনী। এর পাশাপাশি দুরন্ত বোলিংয়ে কেকেআরকে ২৭ রানে হারিয়ে চতুর্থবার চ্যাম্পিয়ন হয় সিএসকে দল। আর গোটা টুর্নামেন্ট জুড়ে দুর্দান্ত ফর্মে থাকা চেন্নাইয়ের ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড় ৬৩৫ রান করে ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’ অর্জন করেন।

IPL 2021 Awards: Ruturaj Gaikwad wins Orange Cap, Rahul awarded for most sixes - Here's the full list of winners | Cricket - Hindustan Times

☞ এবার দেখে নেওয়া যাক আইপিএলের প্রতিটি মরসুমে যারা ‘অরেঞ্জ ক্যাপ’ বিজয়ী হয়েছিলেন:—

আইপিএল ২০০৮: বাঁহাতি ওপেনার শন মার্শ কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের হয়ে (পাঞ্জাব কিংস) আইপিএলের প্রথম মরসুমে ৬১৬ রান করেন। যার মধ্যে ছিল ৫টি হাফসেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরি। 

আইপিএল ২০০৯: দ্বিতীয় মরসুমে অস্ট্রেলিয়ার আরেক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান ম্যাথু হেডেন চেন্নাই সুপার কিংসের হয়ে ৫৭২ রান করেছিলেন। যার মধ্যে ছিল কেবল ৫টি হাফসেঞ্চুরি।

আইপিএল ২০১০: এই মরসুমে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের অধিনায়ক ‘মাস্টার ব্লাস্টার’ সচিন টেন্ডুলকার ৬১৮ রান করেছিলেন। যার মধ্যে ছিল কেবল ৫টি হাফসেঞ্চুরি।

IPL 2020 : "Mumbai Indians is one family, an entire force is with you," Sachin Tendulkar's inspirational message for defending champions before big final » FirstSportz

আইপিএল ২০১১: এই মরসুমে আরসিবির হয়ে অভিষেক করেন ক্রিস গেইল। এই বিস্ফোরক ব্যাটসম্যান ১৮৩ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ৬০৮ রান করেন। যার মধ্যে ছিল ৩টি হাফসেঞ্চুরি ও ২টি সেঞ্চুরি। 

আইপিএল ২০১২: ক্রিস গেইল পরের মরসুমেও তার ধারাবাহিকতা বজায় রেখেছিলেন। তিনি ১৬০ স্ট্রাইক রেট সহ ৭৩৩ রান করেন। যার মধ্যে ছিল ৭টি হাফসেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরি। 

আইপিএল ২০১৩: চেন্নাই সুপার কিংসের আরও এক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান মাইকেল হাসি এই মরসুমে ৬টি হাফ সেঞ্চুরি সহ ৭৩৩ রান করেছিলেন।

List of Orange Cap winners in each IPL Season from 2008 to 2019 » FirstSportz

আইপিএল ২০১৪: এই মরসুমে কলকাতা নাইট রাইডার্স চ্যাম্পিয়ন হয় ও তার পেছনে বড় অবদান ছিল রবিন উথাপ্পার। তিনি ৫ হাফ সেঞ্চুরি সহ ৬৬০ রান করেছিলেন। 

আইপিএল ২০১৫: সানরাইজার্স হায়দ্রাবাদের অধিনায়ক ডেভিড ওয়ার্নার এই মরসুমে ১৫৬ স্ট্রাইক রেট নিয়ে ৫৬২ রান করেছিলেন। যার মধ্যে ৭টি দুরন্ত হাফ সেঞ্চুরি ছিল।

আইপিএল ২০১৬: এই মরসুমে বিরাট কোহলি স্বপ্নের পারফরম্যান্স দিয়েছিলেন। তার দুরন্ত পারফরম্যান্সের জোরে আরসিবি ফাইনালে ওঠে। ৪টি সেঞ্চুরিসহ ১৫২ স্ট্রাইক রেট নিয়ে তিনি ৯৭৩ রান করেন, যা আইপিএলের ইতিহাসে সর্বোচ্চ অরেঞ্জ কাপ জয়ী কোনো ব্যাটসম্যানের স্কোর।

Virat Kohli Trends™ on Twitter: "Only Orange Cap Winner to score a fifty in an IPL Final #KingKohliBdayin50Days • @imVkohli… "

আইপিএল ২০১৭: এই মরসুমে দ্বিতীয়বার অরেঞ্জ ক্যাপ জয়ী ডেভিড ওয়ার্নার ৪টি হাফ সেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরি সহ ৬৪১ রান করেছিলেন।

আইপিএল ২০১৮: কেন উইলিয়ামসন নেতৃত্বে ও তার দুরন্ত পারফরমেন্সে এই মরসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ ফাইনালে ওঠে। তিনি ৮টি হাফসেঞ্চুরি সহ ৭৩১ রান করেছিলেন।

আইপিএল ২০১৯: টানা এক বছর নিষিদ্ধ থাকার পর ফিরে এসে ডেভিড ওয়ার্নার তৃতীয়বারের জন্য অরেঞ্জ ক্যাপ বিজয়ী হন। এই মরসুমে তিনি ৮টি হাফ সেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরি সহ ৬৯২ রান করেছিলেন।

IPL 2019: David Warner dominates run chart to win the 'Orange Cap' | Cricket News – India TV

আইপিএল ২০২০: পাঞ্জাব কিংসের অধিনায়ক কে.এল. রাহুল এই মরসুমে দুর্দান্ত ফর্মে ছিলেন। তিনি ৫টি হাফসেঞ্চুরি ও ১টি সেঞ্চুরি সহ ৬৭০ রান করেন। তার সর্বোচ্চ স্কোর ছিল অপরাজিত ১৩২ রান।

আইপিএল ২০২১: ফাইনাল ম্যাচে এসে কে এল রাহুলকে পিছনে ফেলে অরেঞ্জ ক্যাপ অর্জন করেন চেন্নাই সুপার কিংসের ডানহাতি ওপেনার ঋতুরাজ গায়কোয়াড়। তিনি ১টি সেঞ্চুরি ও ৪টি হাফসেঞ্চুরি সহ ৬৩৫ রান করেছিলেন। উল্লেখ্য, সিএসকের আরেক ওপেনার ফ্যাফ ডুপ্লেসিসও ৬৩৩ রান করছেন।