Indian Universities: বর্তমান সময়ে আমাদের দেশের ছেলেরা উচ্চশিক্ষার জন্য কানাডা, আমেরিকা, ইংল্যান্ড, জার্মানির মতো দেশে যায়। কিন্তু এমন একটা সময় ছিল বিদেশি ছাত্ররা এদেশে পড়াশোনা করতে আসত। যে কারণে শিক্ষাক্ষেত্রে ভারতকে ‘বিশ্বগুরু’ বলা হত। কিন্তু বর্তমানে ভারতীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলি তাদের ঐতিহ্য হারিয়েছে। অতীতে ভারতের কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ছিল যেখানে বৈদিক শিক্ষার পাশাপাশি অন্যান্য বিষয়েও অধ্যয়ন ও গবেষণা করা হতো যে কারণে ভারতের খ্যাতি ছড়িয়ে পড়েছিল….
১) নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয় (Nalanda University): নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়কে বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে গণ্য করা হয়। এটি স্থাপিত হয়েছিল ৪৫০-৪৭০ খ্রিস্টাব্দে, সেই সময় শুধু ভারত থেকে নয়, জাপান, চীন, তুরস্ক, ইন্দোনেশিয়ার মতো দেশ থেকেও শিক্ষার্থীরা এখানে পড়তে আসতো। এই বিশ্ববিদ্যালয়ে আগে তিন শতাধিক ক্লাস হতো বলে জানা যায়। যেখানে ১০,০০০ এর বেশি শিক্ষার্থী একসঙ্গে লেখাপড়া করত।
তবে নালন্দা বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি হওয়া সহজ ছিল না, এর জন্য শিক্ষার্থীদের প্রবেশিকা পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হত। এখানে শিক্ষার্থীদের বিনামূল্যে শিক্ষার ব্যবস্থা করা হতো। সাহিত্য থেকে শুরু করে জ্যোতিষ, মনোবিজ্ঞান, আইন, জ্যোতিবিদ্যা, বিজ্ঞান, ইতিহাস, গণিত ও স্থপতির মতো সমস্ত বিষয়ে এখানে পড়ানো হতো।
২) তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় (Taxila University):
তক্ষশীলাও বিশ্বের প্রাচীনতম বিশ্ববিদ্যালয়গুলির মধ্যে একটি। তবে দেশভাগের পর এই বিশ্ববিদ্যালয় পাকিস্তানের অংশে চলে যায়। কিন্তু এই ২৭ হাজার বছরের পুরনো এই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে আসতেন সারা বিশ্বের শিক্ষার্থীরা। এই বিশ্ববিদ্যালয় আয়ুর্বেদ, নীতিশাস্ত্রের মতো ইত্যাদি বিষয়ে পড়ানো হতো। জানা যায়, চাণক্য এই বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ও রাষ্ট্রবিজ্ঞানের অধ্যাপক ছিলেন।
৩) বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয় (Vikramshila University):
নালন্দা ও তক্ষশীলা বিশ্ববিদ্যালয় পর ভারতের যে প্রাচীন বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম আসে তা হল বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়। এটি ভারতবর্ষের বিহার রাজ্যে অবস্থিত। অন্য দুটি বিশ্ববিদ্যালয়ের মতোই এখানেও বিদেশ থেকে শিক্ষার্থীরা পড়তে আসতেন। আজব বিক্রমশিলা বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঠামো বর্তমান। এছাড়া এটি একটি পর্যটন কেন্দ্র হিসেবে গড়ে উঠেছে।