ছিলেন ‘স্কুল শিক্ষিকা’ আর বিয়ের পর চুমুক দেয় তিন লাখের কাপে! কীভাবে উত্থান হলো নীতার

Nita Ambani: মুকেশ অম্বানী ভারত তথা এশিয়ার সবচেয়ে ধনী শিল্পপতি। তাঁর স্ত্রীর দৈনন্দিন যাপনও তাই বিলাসিতায় মোড়া। সকালে ঘুম ভাঙার পর থেকে রাতে ঘুমোনো পর্যন্ত বিলাসবহুল জীবনযাপন করেন নীতা। তাই তাকে ঘিরে মানুষের কৌতুহলের সীমা নেই। আর পাঁচটা ভারতীয়ের মতন তারও সকাল শুরু হয় চায়ের কাপে চুমুক দিয়ে, তবে সেই চায়ের কাপের দাম নাকি তিন লাখ টাকা। সাধারণ এক স্কুল শিক্ষিকা থেকে যে পথে উত্থান…

নীতার সকালে চায়ের কাপ থেকে শুরু করে দুপুরে লাঞ্চের প্লেট সবের দামিই প্রায় কোটির ওপর। খবর সূত্রে জানা গেছে, নিতা আম্বানির চায়ের প্লেটের দাম তিন লক্ষ টাকা আর তিনি যে প্লেটে লাঞ্চ করেন তার দাম নাকি দেড় কোটি। যা তৈরি করেছে জাপানের এক ঐতিহ্যবাহী ব্র্যান্ড ‘নরিয়েটর’। নীতার তেষ্টা মেটায় ৪৪ লক্ষ টাকার ফরাসি কোম্পানির জল।

কেবল চায়ের কাপই নয়, নিত্য ব্যবহার্য জিনিসপত্রের মধ্যে এমন আরও অনেক চমক লুকিয়ে রয়েছে। মুকেশ গৃহিণী সবচেয়ে শখের জিনিস হল ব্যাগ। বিগত বেশ কয়েক বছর আগে তাকে একটি কুমিরের চামড়া দিয়ে তৈরি হ্যান্ড ব্যাগ নিয়ে দেখা গেছিল যা সেই সময় নেট মাধ্যমে শোরগোল ফেলে দেয়। যার দাম নাকি আনুমানিক ২ কোটি ৬ লক্ষ টাকা।

নীতা আম্বানির যে ঘড়িগুলো ব্যবহার করেন সেগুলির দামও লাখের ওপর। কেবল ব্যাগ বা ঘড়ি নয়, নীতার পছন্দের তালিকায় রয়েছে জুতো। গ্রেসিয়া, মার্লিন ইত্যাদি দামি ব্র্যান্ডের জুতা পরেন তিনি। এদের কোনটারই দাম ১ লাখের কম নয়। এমন কি তিনি যে বাড়িতে থাকেন তাও বিশ্বের সব বিলাসবহুল বাড়ির মধ্যে একটি।

বর্তমানে তিনি বিলাসিতার শিখরে থাকলেও সাধারণত তা তার স্বামীর থেকে পাওয়া। আসলে নিতা আম্বানি একজন মধ্যবিত্ত পরিবারের মেয়ে, তার বাবা ছিলেন একটি সাধারণ কোম্পানির কর্মচারী। বিয়ের আগে একটা স্কুলের শিক্ষিকা ছিলেন নীতা। ১৯৮৫ সালে মুকেশ আম্বানিকে বিয়ে করেন। এক মধ্যবিত্ত পরিবার থেকে এশিয়ার সবচেয়ে ধনী ব্যক্তির স্ত্রী হওয়া অবশ্যই একটা চমকপ্রদ ব্যাপার।