ভারতবর্ষের বুকে অনেক মন্দির রয়েছে যেগুলির রহস্য আজ অব্দি কেউ সমাধান করতে পারেনি। যদিও তথ্যপ্রযুক্তির যুগে এই ঘটনাগুলিকে কেউ বিশ্বাস করতে চায় না, আবার অনেকেই আধ্যাত্মিকতার টানে এই জায়গাগুলিতে ছুটে আসেন। এই প্রতিবেদনের তেমনই এক রহস্যময় মন্দিরের কথা বলা হয়েছে যেটি দিনে দুইবার সাগরের নিচে ডুবে যায় এবং সঠিক সময়ে আবার ভেসে ওঠে; গুজরাটের এই মন্দিরটির নাম হল স্তম্ভেশ্বর মন্দির।
এটি মন্দিরটিকে দিনে একবারই সমুদ্রের উপর ভেসে উঠতে দেখা যায়। এই রহস্যময় মুহূর্তের সাক্ষী থাকতে বহু দূর দূরান্ত থেকে মানুষেরা এসে ভিড় জমান। এই মন্দিরটি গুজরাট থেকে প্রায় এক কিলোমিটার দূরে আরব সাগরের মধ্যে অবস্থিত। প্রতিদিন বেলা ঠিক দুপুর ১টাই ভেসে ওঠে আর বাকি সময় জলের নিচে ডুবে যায়।
ভারতের সবথেকে জাগ্রত মন্দির গুলির মধ্যে এই শিব মন্দিরটি অন্যতম। এটি সমুদ্র দ্বারা পরিবেষ্টিত। এই মন্দিরের সৌন্দর্য দেখার মত মনে করা হয় সমুদ্র দেবতা নিজে আসেন। জোয়ারের সময় এই শিবলিঙ্গ সম্পূর্ণ জলমগ্ন হয়। এই মন্দির সকাল এবং রাতের বেলায় একদম অদৃশ্য হয়ে যায় আবার নির্দিষ্ট সময়ে এই মন্দিরটি ভেসে ওঠে।
সম্ভবত জোয়ার ভাটার কারণে নাকি এরকম ঘটে থাকে। এজন্য শিবলিঙ্গে দর্শন করতে হলে আপনাকে এমন সময় যেতে হবে যখন জোয়ারের মাত্রা কম থাকবে। এই মন্দিরের কথা শিব পুরাণেও উল্লেখ রয়েছে। মন্দিরে আগত দর্শনার্থীদের বিশেষ কাগজ দেওয়া হয় যেখানে জোয়ার ভাটার সময় লেখা থাকে। কথিত আছে, এই মন্দির শিবপুত্র কার্তিকের তৈরি।
ভক্তরা পুরো বিষয়টিকেই ঐশ্বরিকলীলা হিসেবে মনে করেন। বিজ্ঞানীরা অবশ্য এসব মানতে নারাজ। তারা এই ঘটনার জন্য জোয়ার ভাটাকেই দায়ী করেন। তবে মন্দিরটি জলের নিচে ডুবলেও এর তেমন কোনো ক্ষতি হয়নি – এটাই বা আশ্চর্য কম কিসের।