বৈদিক জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে, কর্মফলে দেবতা হলেন শনি। আপনি কর্ম যেমন করবেন শনির দৃষ্টিতে ফল তেমনই পাবেন। যদি কোন ব্যক্তি জন্মছকে অশুভ স্থানে শনি বিরাজ করে তাহলে সেই ব্যক্তির জীবনে নানা রকমের বিপর্যয় নেমে আসে।
অন্যদিকে শনির অবস্থান যদি ভাল হয় তাহলে পথের ভিখারীও কোটিপতি হয়ে যেতে পারেন। এই কারণেই শনির দৃষ্টিকে সবাই ভয় পায়। শনির কুনজর পড়লে জীবন ছারখার হয়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, শনির মহাদশা চলছে কিনা বুঝবেন কিভাবে? জেনে নেওয়া সেই বিষয়ে :-
১) জ্যোতিষ শাস্ত্র অনুসারে বলা হয়েছে, হঠাৎই যদি কোন ব্যক্তির মদ ও মাংসের প্রতি আকর্ষণ অতিরিক্ত পরিমাণে বেড়ে যায়, তাহলে বুঝতে হবে তার উপরে শনির কুদৃষ্টি পড়েছে। এই অভ্যাস নিয়ন্ত্রণ করতে পারলেই ধীরে ধীরে শনির কুপ্রভাব আপনার উপর থেকে চলে যাবে।
২) যদি কারোর জুতো বারবার ছিঁড়ে যায় কিংবা হারিয়ে যায় তাহলে বুঝতে হবে সেই ব্যক্তির জন্মছকে শনির অবস্থান ভালো নয়। তাই সাবধান হওয়া উচিত।
৩) যদি শনির মহাদশা শুরু হয় তাহলে হাতের তালুর রং কালচে হয়ে যাবে। এমনকি হাতে রেখা গুলো অনেকটাই নীল রংয়ের হয় এবং চোখের নিচেও কালচে ছাপ পড়ে এবং মুখের রঙ ফ্যাকাশে হয়।
৪) যদি ঋণের বোঝা অত্যাধিকভাবে বাড়তে থাকে তাহলে বুঝতে হবে আপনার ওপরে শনির দৃষ্টি পড়েছে।
৫) হঠাৎ কোন ব্যক্তির মধ্যে যদি রাগ ও হতাশা এই দুটোই আচমকা অনেকটাই বেড়ে যায় কিংবা ছোটখাটো ঘটনায় অতিরিক্ত মাথা গরম করে ফেলেন তাহলে বুঝতে হবে তার ওপরে শনির কুনজর পড়েছে। সাধারণত এই ধরনের ব্যক্তিদের কাজ করার ইচ্ছা প্রায় চলে যায় এবং তারা বেশিরভাগ সময় বিছানায় শুয়ে কাটাতে পছন্দ করেন।
৬) শনির কুদৃষ্টির প্রভাবে শরীরের বিভিন্ন স্থানে ব্যাথা বেদনা শুরু হবে। এছাড়া অল্প বয়সেই চুল উঠে যেতে থাকবে। দাঁতও পড়ে যাবে। এছাড়াও দৃষ্টিশক্তি ক্ষীণ হয়ে আসবে।
৭) যাদের উপর শনির দৃষ্টি পড়ে তারা বেশিরভাগ নোংরা জামাকাপড় পরে থাকতে এবং স্নান না করে থাকতে পছন্দ করেন।
👉 এই ধরনের ঘটনাগুলো যদি আপনার সাথে ঘটতে থাকে তাহলে অবহেলা না করে এখনই সাবধান হয়ে যান। কিভাবে শনিকে তুষ্ট করবেন তার সঠিক ব্যবস্থা করুন। কারণ শনির প্রভাবে পুরো জীবন ছারখার হয়ে যেতে পারে।