আন্তর্জাতিক ক্রিকেটমহলে একটা মিথ তৈরি হয়েছে যে মহেন্দ্র সিং ধোনি যদি রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেন তাহলে সেটা মাঠের আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে বদলাতে হবে। কিংবা থার্ড আম্পায়ার রিপ্লে না দেখেই সরাসরি সিদ্ধান্ত বদলাতে পারেন। আসলে ধোনির নেওয়া রিভিউগুলি বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই সফল।
প্রাক্তন ভারতীয় ক্রিকেটার শুধুমাত্র উইকেটের পেছনে দাঁড়িয়ে নয়, কখনো কখনো ব্যাটিংয়ের সময় প্রান্তে দাঁড়িয়ে থেকে সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে সতীর্থ ব্যাটসম্যানকেও বাঁচিয়েছেন।
সেইদিক থেকে বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলি সম্পূর্ণ বিপরীত মেরুতে অবস্থান করছেন। যখনই তিনি ব্যাটিংয়ের সময় রিভিউ নিয়েছেন তা বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই অসফল হয়েছে।
এবার যদি পরিসংখ্যানের কথায় আসা যায়, তাহলে বিরাট কোহলি এখনো পর্যন্ত টেস্ট ক্রিকেটে ব্যাটিং এর সময় মোট ১৫ বার রিভিউয়ের জন্য আবেদন করেছেন, যার মধ্যে ২ বার আম্পায়ারের সিদ্ধান্তকে বদলাতে হয়েছে।
অর্থাৎ বিরাট কোহলির নেওয়া রিভিউ ২ বার সফল হয়েছে এবং ৮ বার ব্যর্থ হয়। ৫ বার আম্পায়ার্স কল বা আম্পায়ারের সিদ্ধান্ত জারি থেকেছে।
বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের ফাস্ট বোলার কাইল জেমিসনের বলে বিরাট কোহলি এলবিডব্লিউ হন। সাথে সাথে তিনি রিভিউয়ের জন্য আবেদন করলেও আম্পায়ারের সিদ্ধান্তই চূড়ান্ত হয়। এর ফলে প্যাভিলিয়নে ফিরতে হয় ভারত অধিনায়ককে।