এই পাঁচটি খাবার হতাশা ও উদ্বেগ বাড়িয়ে তোলে, ভুলেও খাবেন না

বলিউড অভিনেতা সুশান্ত সিং রাজপুত আর নেই। জানা গিয়েছে বেশ কিছুদিন ধরে মানসিক অবসাদ তাকে ঘিরে ধরেছিল। এর জন্য তিনি গত কয়েক মাস ধরে চিকিৎসাও করাচ্ছিলেন। কাজের চাপে হোক বা জীবন যাপনের ফলে প্রতি তিনজনের মধ্যে একজন মানুষ এই রোগের শিকার।

Frustration, addiction and waste of youth

তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, আমাদের ডায়েটের তালিকায় এমন কিছু খাবার রয়েছে যেগুলি মানসিক স্বাস্থ্যের উপর ভীষণভাবে প্রভাব ফেলে। যার ফলে হতাশার মাত্রাকে ব্যাপকভাবে বাড়িয়ে তোলে। তাই হতাশাগ্রস্থ রোগীদেরকে এই সমস্ত খাবারগুলিকে এড়িয়ে চলার নির্দেশ দিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। চলুন দেখে নেওয়া যাক –

১) ফলের রস: 
পুষ্টিকর ফল কেবল শরীরের শক্তি বৃদ্ধি করে না, মানসিক দিক থেকেও সুস্থ রাখে। তবে প্যাকেটজাত ফলের জুসগুলি বেশিরভাগ রাসায়নিক পদার্থ এবং অন্যান্য জিনিস মিশিয়ে তৈরি হয়। এর ফলে অসুস্থতা, হতাশা এবং উদ্বেগের পরিমাণকে আরো বাড়িয়ে তুলতে পারে। তাই তাজা ফলের রস খাওয়াই ভালো।

২) ডায়েট সোডা:
অনেকে বিশ্বাস করেন যে, ডায়েট সোডায় চিনি না থাকার কারণে এটি ক্ষতিকারক নয়। তবে গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, মিষ্টি না থাকলেও ডায়েট সোডা খেলে হতাশার ঝুঁকিকে আরো বাড়িয়ে তোলে। এর পাশাপাশি অতিরিক্ত ক্যাফেইন সেবন করলে পেশীর ক্লান্তির ব্যথার পরিমাণও বাড়তে পারে। 

৩) সাদা টোস্ট:
অধিকাংশ মানুষ প্রাতরাশে সাদা টেস্ট খান। তবে সাদা টোস্ট খেলে শরীরের মধ্যে সরকারের মাত্রা বেড়ে যায়, যা পরবর্তীকালে উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, সাদা টোস্ট হতাশার ঝুঁকি বাড়ায়। 

আরও পড়ুনঃ কোন লক্ষণগুলো দেখে বুঝবেন মানসিক অবসাদে ভুগছেন ও মুক্তির উপায়

৪) টমেটো সস:
টমেটো ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের কেমিক্যাল এবং প্রচুর পরিমাণে চিনি দিয়ে সস প্রস্তুতিতে ব্যবহার হয়। এক চামচ সসে প্রায় চার গ্রাম চিনি থাকে। অতিরিক্ত মিষ্টি থাকার কারণে পেট খারাপ হয় এবং এর পাশাপাশি হতাশা এবং উদ্বেগের ঝুঁকি বাড়িয়ে তোলে।

৫) অ্যালকোহল:
মানসিক চাপে পড়ার কারণে অনেকেই মনে করেন অ্যালকোহল পান করলে সবকিছুই ঠিক হয়ে যাবে। কিন্তু এই ধারণা সম্পূর্ণ ভুল। বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালকোহল কেবল শরীরের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ গুলিকেই ক্ষতিগ্রস্থ করে না, হতাশা এবং উদ্বেগের মাত্রাকেও বাড়িয়ে তোলে।