ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত ২০১৯ বিশ্বকাপের শুরুটি ভালো হলেও শেষটা একেবারেই ক্রিকেটপ্রেমীদের মনের মতো হয়নি। ফাইনালে মুখোমুখি হওয়া ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড দুই দলের লড়াই শেষ পর্যন্ত সুপার ওভারে গড়ায় এবং নাটকীয়ভাবে পরিসমাপ্তি ঘটে।
তবে আজকের প্রতিবেদনে রয়েছে, ওডিআই বিশ্বকাপের ইতিহাসে যে পাঁচ জন ক্রিকেটার সর্বাধিক ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন! এবার তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
১) শচীন টেন্ডুলকার: ৯ বার
শচীন টেন্ডুলকার ১৯৯২ থেকে ২০১১ সাল পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হওয়া একটানা ছটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেছিলেন। ২০০৩ বিশ্বকাপ অন্যতম সেরা ছিল যদিও তার স্বপ্নপূরণ হয় ২০১১ সালে বিশ্বকাপ জিতে। তবে পরিসংখ্যানের কথা বললে, শচীন টেন্ডুলকার বিশ্বকাপে মোট ৪৫টি ম্যাচ খেলেন যার মধ্যে মোট ৯ বার ম্যান অফ দ্যা ম্যাচ হয়েছেন।
২) গ্লেন ম্যাকগ্রা: ৬ বার
অস্ট্রেলিয়ার কিংবদন্তি ফাস্ট বোলার গ্লেন ম্যাকগ্রা তার বোলিং দিয়ে অনেক রেকর্ড তৈরি করেছেন। ১৯৯৬ থেকে ২০০৭ অবধি চারটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। এরমধ্যে অস্ট্রেলিয়ার তিন বার চ্যাম্পিয়ন হয়। পরিসংখ্যানের কথা বললে, গ্লেন ম্যাকগ্রা বিশ্বকাপে মোট ৩৯টি ম্যাচ খেলেন যার মধ্যে ৬ বার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হয়েছেন।
৩) রোহিত শর্মা: ৫ বার
এই তালিকায় তৃতীয় স্থানে রয়েছেন ভারতীয় ওপেনার রোহিত শর্মা। ২০১৫ বিশ্বকাপে বাংলাদেশের বিপক্ষে সেঞ্চুরি হাঁকিয়ে প্রথমবার ম্যান অব দ্যা ম্যাচ হন, এরপর ২০১৯ বিশ্বকাপে ৫টি সেঞ্চুরি করে চার বার ম্যাচ সেরার পুরস্কার পান। পরিসংখ্যানের কথা বললে, রোহিত শর্মা দুটি বিশ্বকাপে মোট ৫ বার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন।
৪) এবি ডি ভিলিয়ার্স: ৫ বার
এই তালিকায় চতুর্থ স্থানে রয়েছেন দক্ষিণ আফ্রিকার শ্রেষ্ঠ ব্যাটসম্যান এবি ডি ভিলিয়ার্স, যিনি ২০০৭ থেকে ২০১৫ অবধি তিনটি বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করেন। ২০১৫ বিশ্বকাপে তিনি ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৬৬ বলে ১৬২ রানের দুর্দান্ত ইনিংস খেলে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন। সেবছর তার নেতৃত্বে দক্ষিণ আফ্রিকা সেমিফাইনালে পৌঁছালেও দুর্ভাগ্যবশত হেরে যায়।
৫) ল্যান্স ক্লুজনার: ৫ বার
এই তালিকায় পঞ্চম স্থানে রয়েছেন সর্বকালের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার ল্যান্স ক্লুজনার। ১৯৯৯ সালের বিশ্বকাপে দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে তিনি ১৭টি উইকেট নেন ও ২৮১ রান করে চারবার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছিলেন। পরিসংখ্যানের কথা বললে, ল্যান্স ক্লুজনার দুটি বিশ্বকাপে মোট ৫ বার ম্যান অব দ্য ম্যাচ হয়েছেন।