বিশ্বে এমন অনেক খেলোয়াড় আছেন যারা উচ্চস্তরে ক্রিকেট খেলার জন্য অন্য দেশে পাড়ি দেন। যে দেশগুলোতে খেলোয়াড়রা যান, তাদের মধ্যে ইংল্যান্ড এমন একটি দেশ যেখানে ক্রিকেট খেলার প্রচুর সুযোগ রয়েছে। ইংল্যান্ডে কাউন্টি সহ প্রচুর ঘরোয়া ক্রিকেট হয় এবং কাউন্টি খেলা অনেক ক্রিকেটার এই দেশের জাতীয় দলে সুযোগ পান।
তবে অন্য কোনও দেশের খেলোয়াড় যদি ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার যোগ্য হন তাহলে তাকে কয়েকটি নিয়ম মেনে চলতে হয়। ইংল্যান্ডের হয়ে খেলার সুযোগ পেলে আগে তাদের কয়েকটি বছর সেই দেশে থাকতে হয়। এমন বেশ কয়েকজন নামিদামি ক্রিকেটার রয়েছেন যারা নিজের দেশ ছেড়ে ইংল্যান্ডের হয়ে খেলেছেন! এবার তাদের সম্পর্কে জেনে নেওয়া যাক:-
৫) কেভিন পিটারসেন:
কেভিন পিটারসেন দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তবে তার মা ছিলেন একজন ব্রিটিশ নাগরিক। ১৯৯৭ সালে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা শুরু করেছিলেন কিন্তু ২০০০ সালে ইংল্যান্ড চলে আসেন। এখানে চার বছর কাউন্টি ক্রিকেট খেলার পর তিনি ইংল্যান্ডের জাতীয় দলে খেলার যোগ্যতা অর্জন করেছিলেন।
৪) জেসন রয়:
জেসন রয়ও দক্ষিণ আফ্রিকায় জন্মগ্রহণকারী একজন ইংলিশ ক্রিকেটার। ১০ বছর বয়সে তিনি নিজের দেশ ছেড়ে ইংল্যান্ডে চলে আসেন এবং ঘরোয়া ক্রিকেট খেলা শুরু করেন। সীমিত ওভারের ক্রিকেটে তিনি দুর্দান্ত পারফরম্যান্স করেছিলেন এবং পরবর্তীতে তিনি ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান।
৩) ইয়ন মর্গ্যান:
ইয়ন মর্গ্যান প্রথমে নিজের দেশ আয়ারল্যান্ডের হয়ে খেলা শুরু করেছিলেন। এরপর কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন। দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের পর ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান। তিনি একমাত্র ইংল্যান্ডের অধিনায়ক যিনি বিশ্বকাপ জিতেছেন। একজন দুর্দান্ত ব্যাটসম্যান হওয়ার পাশাপাশি বর্তমানে তিনি সীমিত ওভারের ক্রিকেটে অধিনায়কের দায়িত্বে রয়েছেন।
২) জোফরা আর্চার:
বার্বাডোসে জন্ম নেওয়া জোফরা আর্চার ২০১৬ সালে কাউন্টি ক্রিকেট খেলতে ইংল্যান্ডে পাড়ি দেন। যোগ্যতার বিচারে তিনি দ্রুত ইংল্যান্ডের জাতীয় দলের হয়ে খেলার সুযোগ পান। বর্তমানে বিশ্বের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলারদের মধ্যে জোফরা আর্চার অন্যতম। এছাড়া আইপিএলে তিনি রাজস্থান রয়্যালসের খেলেন।
১) বেন স্টোকস:
২০১৯ বিশ্বকাপের নায়ক বেন স্টোকস নিউজিল্যান্ডের ক্রাইস্টচার্চে জন্মগ্রহণ করেছিলেন। তিনি ১২ বছর বয়সে ইংল্যান্ডে চলে আসেন। এই সময়ে তিনি প্রচুর ঘরোয়া ক্রিকেট খেলেন। তার পারফরমেন্সে ইংল্যান্ডের ক্রিকেট বিভাগের কর্মকর্তারা মুগ্ধ হন এবং তিনি ২০১৩ সালে অভিষেক করেন। বর্তমানে বেন স্টোকসকে বিশ্বের সেরা অলরাউন্ডার বলা হয়।