২০০৮ সালে শুরু হওয়া আইপিএল লিগ বহু স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী থেকেছে। বিশ্বের প্রতিটি প্রান্ত থেকে তরুণ ক্রিকেটাররা এই লিগে শামিল হতে চান। আর দেশীয় ক্রিকেটারদের জাতীয় দলে সুযোগ পাওয়ার সবচেয়ে ভালো রাস্তা এই টি-টোয়েন্টি লিগে ভালো পারফর্ম করা। গত কয়েক বছরে অনেক দুর্দান্ত ক্রিকেটাররা আইপিএল থেকে উঠে এসেছেন জাতীয় দলে। তবে এই টুর্নামেন্টে কয়েকটি রেকর্ড রয়েছে, যা কেউ কখনই সেগুলি ভাঙতে চাইবে না। এবার দেখে নেওয়া যাক:-
□ একটি স্পেলে সর্বোচ্চ রান:
২০১৮ আইপিএল মরসুমে সানরাইজার্স এর ফাস্ট বোলার বাসিল থাম্পি তার ৪ ওভার স্পেলে ১৭.৫ ইকোনমিতে মোট ৭০ রান দিয়েছিলেন। এবি ডি ভিলিয়ার্স, মঈন আলী ও কলিন ডি গ্র্যান্ডহোমের বিধ্বংসী ব্যাটিং দিশেহারা হয়ে পড়েন তিনি। এই বিব্রতকর রেকর্ডিং আর কোন বোলার ভাঙতে চাইবেন না আরসিবি নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ২১৮ রান তোলে। জবাবে সানরাইজার্স মাত্র ১৪ রানের জন্য পরাজিত হয়।
□ টানা তিনটি ম্যাচে শূন্য রানে আউট:
২০১৪ আইপিএল মরসুমে গৌতম গম্ভীর নেতৃত্বে কেকেআর দ্বিতীয়বারের জন্য চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল। কিন্তু গম্ভীরের ব্যাটিং পারফরম্যান্স হতাশাজনক ছিল। ওই একই মরসুমে তিনি পরপর তিনটি ম্যাচে রানের খাতা খুলতে ব্যর্থ হন। প্রতিপক্ষ দলগুলি ছিল মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস ও রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। এই মরসুমে তিনি ১৬টি ম্যাচে ২২.৩৩ গড়ে ৩৩৫ রান করেছিলেন।
□ সর্বনিম্ন রানে অলআউট:
অধিনায়ক বিরাট কোহলির ক্যারিয়ার অনেক স্মরণীয় মুহূর্তের সাক্ষী থাকলেও দুর্ভাগ্যবশত এই রেকর্ডটি হয়তো আজও তাকে আফসোস করায়। ২০১৭ আইপিএলে কেকেআরের বিপক্ষে ১৩২ রানের লক্ষ্যমাত্রা নিয়ে ব্যাট করতে নেমে আরসিবি দল ৪৯ রানে গুটিয়ে যায়। তাসের ঘরের মতো ভেঙে পড়ে ব্যাটিং দুর্গ। কেউই দুই অঙ্কের রান করতে পারেনি। দলের হয়ে সর্বোচ্চ স্কোর করেন কেদার যাদব (৯)। শেষ ছটি উইকেট পরে মাত্র ৯ রানের মাথায়।
□ সর্বোচ্চ অতিরিক্ত রান:
২০০৮ আইপিএলে কলকাতা নাইট রাইডার্স ও ডেকান চার্জার্স মুখোমুখি হলে একটি অপ্রত্যাশিত রেকর্ড হয়। ডিসি প্রথমে ব্যাটিং করে ১১০ রানে গুটিয়ে যায়। জবাবে কলকাতা নাইট রাইডার্স মাত্র ২১ রানের মাথায় ৩ উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়ে। তবে নাইটদের প্রয়োজনীয় রান তুলতে খুব একটা লড়াই করতে হয়নি। আসলে ডিসির জঘন্য বোলিংয়ে অতিরিক্ত ২৮ রান দিয়েছিল, যা আইপিএলের ইতিহাসে এটি সর্বোচ্চ অতিরিক্ত রান।
□ বড় ব্যবধানে পরাজয়:
২০১৭ আইপিএলে দিল্লি ডেয়ারডেভিলসের পক্ষে একেবারেই সুখকর ছিল না। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর বিপক্ষে মুখোমুখি হলে টসে জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় তারা। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স নির্ধারিত কুড়ি ওভারে ২১২ রানের পাহাড় খাড়া করে। জবাবে দিল্লির ব্যাটসম্যানরা মাত্র ৬৬ রানে আত্মসমর্পণ করে এবং ১৪৬ রানের বড় ব্যবধানে পরাজিত হয় — যা আইপিএলের ইতিহাসে একটি অন্যতম লজ্জাজনক রেকর্ড।