এশিয়া মহাদেশে ক্রিকেট খেলা দেশগুলি নিয়ে এই বিখ্যাত টুর্নামেন্টটি প্রতি ২ বছর অন্তর অনুষ্ঠিত হয়। এশিয়া কাপের প্রথম পথচলা শুরু হয়েছিল ১৯৮৪ সালে যেবার ভারতীয় দল শ্রীলংকাকে হারিয়ে প্রথমবার এশিয়া কাপ জয় করে। ২০১৬ সালে প্রথমবার টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলা হয়। চলতি বছরেও এশিয়া কাপ টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে খেলার কথা রয়েছে কিন্তু মহামারী কারণে স্থগিত করে দেওয়া হয়েছে।
আজকের প্রতিবেদনের রয়েছে, এশিয়া কাপে সর্বাধিক সেঞ্চুরি করেছেন যে ৭ ব্যাটসম্যান, তালিকায় রয়েছেন তিন ভারতীয়। তবে আশ্চর্যের কথা এই তালিকায় স্থান পাননি শচীন টেন্ডুলকার।
৭) সুরেশ রায়না (২ টি সেঞ্চুরি)
ভারতীয় বাঁহাতি মিডল অর্ডার ব্যাটসম্যান সুরেশ রায়না এখনো পর্যন্ত এশিয়া কাপে ১৩ টি ম্যাচ খেলেছেন। এর মধ্যে তিনি ৬০.৭৭ গড় নিয়ে ৫৪৭ রান করেন এবং দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে।
৬) শিখর ধাওয়ান (২ টি সেঞ্চুরি)
ভারতীয় বাঁহাতি ওপেনার শিখর ধাওয়ান এশিয়া কাপে মোট ৯টি ম্যাচ খেলে ৫৩৪ রান করেন ৫৯.৩৩ গড় নিয়ে। যার মধ্যে রয়েছে দুটি সেঞ্চুরি।
৫) লাহিরু থিরিমন্নে (২ টি সেঞ্চুরি)
শ্রীলংকার বাঁহাতি ব্যাটসম্যান লাহিরু থিরিমন্নে এশিয়া কাপে মোট ৮টি ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে তিনি ৪৫.৩৭ গড় নিয়ে ৩৬৩ রান করেন এবং দুটি সেঞ্চুরি রয়েছে।
৪) শোয়েব মালিক (৩ টি সেঞ্চুরি)
পাকিস্তানের বিখ্যাত অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক এশিয়া কাপে মোট ১৭টি ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে তিনি ৬৫.৫০ গড় নিয়ে ৭৮৬ রান করেন এবং তিনটি সেঞ্চুরি রয়েছে।
৩) বিরাট কোহলি (৩ টি সেঞ্চুরি)
ভারত অধিনায়ক বিরাট কোহলি এখনো পর্যন্ত ১১টি এশিয়া কাপ খেলেছেন। এরমধ্যে তিনি ৬১.৩০ গড় নিয়ে ৬১৩ রান করেন এবং তিনটি সেঞ্চুরি রয়েছে। ২০১২ সালে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে তিনি দুর্ধর্ষ ১৮৩ রানের ইনিংস খেলে দলকে জিতেছিলেন। আর এটিই এশিয়া কাপে সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত স্কোর।
২) কুমার সাঙ্গাকারা (৪টি সেঞ্চুরি)
শ্রীলংকার কিংবদন্তি ব্যাটসম্যান কুমার সাঙ্গাকারা এশিয়া কাপে ২৪ টি ম্যাচ খেলেছেন। যেখানে তিনি ৪৮.৮৬ গড় নিয়ে ১০৭৫ রান করেন এবং চারটি সেঞ্চুরি রয়েছে।
১) সনথ জয়সুরিয়া (৬টি সেঞ্চুরি)
এশিয়া কাপে সর্বাধিক সেঞ্চুরির মালিক হলেন শ্রীলংকার প্রাক্তন ওপেনার সনথ জয়সুরিয়া। মোট ২৫টি ম্যাচ খেলে ৫৩.০৪ গড় নিয়ে ১২২০ রান করেন এবং ৬টি সেঞ্চুরি রয়েছে।
এছাড়াও, এশিয়া কাপে যাদের দুটি করে সেঞ্চুরি রয়েছে তাদের ম্যাচের পরিসংখ্যান অনেক বেশি। যথাক্রমে তারা হলেন – ইউনিস খান (১৪টি ম্যাচ), মুশফিকুর রহিম (২১টি ম্যাচ), শাহিদ আফ্রিদি (২৩টি ম্যাচ) এবং শচীন টেন্ডুলকার (২৩টি ম্যাচ)।