অবসর নিয়েও বারবার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ফিরেছেন এই ৬ জন খেলোয়াড়

ক্রিকেটাররা দেশের হয়ে খেলার পর একটা সময়ে তাদের বুট জোড়া তুলে রাখার সিদ্ধান্ত নিতেই হয়। কিন্তু এমন কিছু খেলোয়াড় ছিলেন যারা ব্যক্তিগত কারণ হোক বা টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছেন কিন্তু আবারও অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরে এসেছেন। এই প্রতিবেদনে তেমনি ৬ জন খেলোয়াড়ের কথা বলা হয়েছে:

৬) ব্রেন্ডন টেলর:

জিম্বাবুয়ের মত একটি দুর্বল দলে এক বিখ্যাত তারকার উদয় হয়েছিল যিনি তার অসাধারণ কিছু ক্রিকেটার শট দেখিয়ে গোটা বিশ্বকে মুগ্ধ করেছিলেন। জিম্বাবুয়ের প্রাক্তন উইকেট রক্ষক ব্যাটসম্যান ব্রেন্ডন টেলর যিনি ২০১৫ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়েছিলেন কাউন্টি ক্রিকেট খেলার জন্য। কাউন্টি ক্রিকেটের চুক্তি শেষ হলে তিনি আবার জাতীয় দলে ফিরে আসেন

৫) জাভাগাল শ্রীনাথ:

ভারতীয় ক্রিকেটের বিখ্যাত ফাস্ট বোলার জাভাগাল শ্রীনাথ ২০০৩ বিশ্বকাপের প্রাক্কালেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন। এরপর অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলীর বিশেষ অনুরোধে তিনি আবার জাতীয় দলে ফিরে আসেন এবং ওই টুর্নামেন্টে যোগদান করেছিলেন। দলকে ফাইনালে নিয়ে যাওয়ার ক্ষেত্রে তার যথেষ্ট অবদান ছিল। ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে তিনি দ্বিতীয় সর্বোচ্চ উইকেট শিকারি ভারতীয় বোলার।

৪) জাভেদ মিয়াঁদাদ:

পাকিস্তানের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় জাভেদ মিয়াঁদাদও শচীন টেন্ডুলকারের মতোই ছটি বিশ্বকাপে অংশ নেওয়ার কৃতিত্ব অর্জন করেছেন। তবে ১৯৯৬ বিশ্বকাপের পর হঠাৎই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়ে নেন। এরপর কয়েক সপ্তাহ পরেই আবার জাতীয় দলে ফিরে আসেন ইমরান খানের অনুরোধে।

৩) ইমরান খান:

পাকিস্তানের দুর্দান্ত খেলোয়াড় ইমরান খান ১৯৮ বিশ্বকাপের পরেই হঠাৎ আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর ঘোষণা করেন। তবে সেই সময় পাকিস্তানের রাষ্ট্রপতি নির্দেশে তিনি আবার জাতীয় দলে ফিরে আসেন এবং ১৯৯২ বিশ্বকাপে তার নেতৃত্বে পাকিস্তান চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল।

২) কার্ল হুপার:

ওয়েস্ট ইন্ডিজের অন্যতম সেরা খেলোয়াড় কার্ল হুপার ১৯৯৯ বিশ্বকাপের পরেই ক্রিকেট থেকে বুট জোড়া তুলে রাখা সিদ্ধান্ত নেন। তবে এর ঠিক দুই বছর পর আবারও তিনি জাতীয় দলে ফিরে আসেন এবং অধিনায়কও হয়েছিলেন।

১) শাহিদ আফ্রিদি:

পাকিস্তানের অলরাউন্ডার শাহিদ আফ্রিদি মাঝেমধ্যেই তার সহ খেলোয়াড় ও টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে ঝামেলায় জড়িয়ে পড়তেন। ফলে ২০১০ সালেই ক্রিকেটকে বিদায় জানিয়ে দিয়েছিলেন এবং এর কিছুদিন পরেই আবার অবসর ভেঙে জাতীয় দলে ফিরে আসেন। তার অবসর নেওয়া ও ফিরে আসা এমনটা বেশ কয়েকবার হতে থাকে। তবে ২০১৬ সালে পুরোপুরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে বিদায় নিয়েছিলেন।