ক্রিকেটাররা প্রায়ই তাদের ব্যক্তিগত কারনের জন্যে খবরের শিরোনামে আসেন। কখনো কখনো দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণে লাইম লাইটে আসেন আবার কেউ কেউ আইন ভঙ্গের কারণে আলোচনার বিষয় হয়ে ওঠেন। বিশ্ব ক্রিকেটের সেই কুখ্যাত পাঁচ খেলোয়াড়ের মধ্যে রয়েছেন দুই ভারতীয়ও। এই প্রতিবেদনে এমন ৫ খেলোয়াড়ের কথা বলা হয়েছে, যারা জেলের হাওয়া খেয়েছেন। এবার দেখে নেওয়া যাক:
১) রুবেল হোসেন:
বাংলাদেশী ফাস্ট বোলার রুবেল হোসেন অভিনেত্রী নাজনীন আক্তার হ্যাপিকে ধর্ষণ করার অপরাধে গ্রেপ্তার হন। পুলিশ হেফাজতে তিনি তিন দিনের জন্য ছিলেন। এরপর আদালতে তাকে ২০১৫ বিশ্বকাপে খেলার জন্য জামিন দেয়। রুবেল হোসেন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশকে অসাধারণ জয় এনে দেওয়ায় অভিনেত্রী হ্যাপি তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ তুলে নেন। হ্যাপি বলেন, “বাংলাদেশকে সফল হতে দেখে আমি আর রুবেলের বিরুদ্ধে লড়তে চাই না।”
২) মোহাম্মদ আমির:
পাকিস্তানি বাঁহাতি ফাস্ট বোলার মোহাম্মদ আমির। ২০১০ সালে ইংল্যান্ড সফরে একটি টেস্ট ম্যাচ চলাকালীন ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে ছিলেন তিনি এবং এরপর বেশ কয়েক বছর তাকে জেলের ঘানি টানতে হয়েছিল। ওই একই ঘটনায় জড়িয়ে ছিলেন আরও দুই পাকিস্তানি খেলোয়াড় সালমান বাট ও মোহাম্মদ আসিফ।
৩) বেন স্টোকস:
বর্তমানের অন্যতম সেরা অলরাউন্ডার বেন স্টোকসও একবার গ্রেপ্তার হয়েছিলেন। জানা যায় ২০১৭ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজ চলাকালীন মধ্যরাতে একটি নাইট ক্লাবে গিয়েছিলেন, সেখানেই জড়িয়ে পড়েন কয়েকজন স্থানীয় যুবকের সাথে। এমনকি তার বিরুদ্ধে এক যুবতী শ্লীলতাহানীর অভিযোগেও তুলেছিলেন।
৪) এস শ্রীশান্ত:
২০০৭ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের সেমিফাইনালে অসাধারণ বোলিং করে ভারতীয় দলকে জিতিয়ে ছিলেন শ্রীশান্ত। তবে একটি আইপিএল চলাকালীন ম্যাচ ফিক্সিংয়ে জড়িয়ে পড়েন। দোষী সাব্যস্ত হলে চিরতরে ক্রিকেট থেকে নিষিদ্ধ হন। যদিও কয়েক বছর পর এই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও, ততদিনে তার ক্রিকেট ক্যারিয়ার শেষ হয়ে গেছে।
৫) নভজোৎ সিং সিধু:
৮০-৯০ দশকের ভারতীয় ক্রিকেটার নভজোৎ সিং সিধুকে হত্যার অভিযোগে গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। জানা যায়, এক রোড দূর্ঘটনায় একজনকে হত্যা করেছিলেন। ওই ব্যক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পথেই তার মৃত্যু হয়। এছাড়াও তার বিরুদ্ধে এক বৃদ্ধকে মারধর করার অভিযোগ উঠেছিল।
৬) মাখায়া এনটিনি:
দক্ষিণ আফ্রিকার প্রাক্তন ক্রিকেটার মাখায়া এনটিনি তার সময়ের অন্যতম সেরা ফাস্ট বোলার ছিলেন। ১৯৯৮ সালে তার বিরুদ্ধে ধর্ষণের অভিযোগ ওঠে। খবর সূত্রে জানা যায়, এক কিশোরীকে শ্লীলতাহানি করায় তাকে জেলে যেতে হয়েছিল। আইসিসিও তার ওপর ৬ বছর নিষেধাজ্ঞা জারি করে।